সিলেটে করোনা শনাক্তে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু
সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে পাঠানো কিটের মাধ্যমে এ পরীক্ষা শুরু হয়।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ল্যাব টেকনোলজিস্ট এবং একজন চিকিৎসক কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে ৫০টি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিট সরবরাহ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২০টি কিট এরই মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর ১৯টিতে করোনার নমুনা পরীক্ষায় আরটি–পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে। একটিতে অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ এলেও আরটি পিসিআরে ‘নেগেটিভ’ এসেছে। সেই হিসেবে অ্যান্টিজেন কিটের ফলাফল ৯৯ ভাগ কার্যকর।
অ্যান্টিজেন পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা নওশাদ হোসেন বলেন, ‘এখনো অ্যান্টিজেন পরীক্ষামূলকভাবে চলেছে। প্রতি সপ্তাহে অ্যান্টিজেন ও আরটি–পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ফলাফল আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। পরে সারাদেশের পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করার পর অ্যান্টিজেনের অনুমোদন আসতে পারে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন দিয়ে পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হলে কম সময়ে করোনা শনাক্ত সম্ভব হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. রাজিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক তথ্য বিবৃতিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭২। এর মধ্যে সিলেট জেলায় অর্ধেকেরও বেশি সাত হাজার ৯৬৮ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৪৩২, হবিগঞ্জে এক হাজার ৮৬২ ও মৌলভীবাজারে এক হাজার ৮১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৭৩ জন। মারা গেছেন ২৩৮ জন। বর্তমানে সিলেট বিভাগে এক হাজার ৬১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।
এএইচ/জেআইএম
