প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

রাজশাহীর সোনাদীঘি এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এসময় ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জী, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী সদরের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রতীকী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনাদীঘির নির্মাণাধীন সিটি কমপ্লেক্সের সঙ্গে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গায় দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারটি নির্মাণের পরিকল্পনা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের। এরইমধ্যে এই প্রকল্পে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দও এসেছে।

কিন্তু শহীদ মিনার নয়, জেলা পরিষদ প্রথমে চেয়েছিল সেখানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করতে। এজন্য তারা একটি পরিকল্পনাও পাঠায় মন্ত্রণালয়ে।

এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে রাজশাহীর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। গত ১৩ ডিসেম্বর সভা করে বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা দেয় রাজশাহীর ১৪ দল। শেষে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে জেলা পরিষদ।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল রাজশাহী কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাস এলাকায়। কিন্তু এই শহীদ মিনারের মেলেনি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। প্রথম শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা ঝুলে রয়েছে।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারের ভূবনমোহন পার্কে রয়েছে আরেক শহীদ মিনার। ঐতিহাসিক এই শহীদ মিনার এখানকার বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু দখলেরকারণে এটি হয়ে পড়েছে অবরুদ্ধ।

দীর্ঘদিনে পর অবশেষে একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জন্য এ নগরের মানুষের প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে এবার।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসএমএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।