সিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে সিলেটসহ দেশের সব পর্যটন স্পট বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও ঈদের ছুটিতে গোয়াইনঘাটের জাফলংসহ পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। এ অবস্থায় সিলেটের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ ও বিজিবি।
ঈদে চলমান লকডাউন অবস্থায় সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমন বন্ধ রাখতে জাফলং জিরো পয়েন্ট, সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকা, আদিবাসী খাসিয়া পল্লী ও জাফলং চা-বাগান এলাকায় কোনো ধরনের জনসমাগম যাতে না ঘটে, সেজন্য একাধিক তল্লাশি চৌকি বসিয়ে রাস্তা থেকেই পর্যটকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সিলেট তামাবিল মহাসড়কের নলজুরি, গুচ্ছগ্রাম, গোয়াইনঘাটের বঙ্গবীর পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা পর্যটকবাহী সব ধরনের যানবাহন ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ঈদকেন্দ্রিক জাফলংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটক বহনকারী প্রাইভেটকার, বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হচ্ছে। পর্যটকবাহী এসব যানবাহনকে গতিরোধ করে পুনরায় একই রোড দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে পর্যটন পুলিশের জাফলং সাব-জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জাগো নিউজকে জানান, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঈদে গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পটগুলোতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের যানবাহনের গতিরোধ করে তা আবার ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পর্যটন এলাকাকে সুরক্ষিত রাখতে পর্যটক-দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। জাফলংয়ের প্রতিটি পর্যটন স্পট এখন পর্যটকশূন্য।
উল্লেখ্য, ঈদের পরদিন ১৫ মে ‘বিধিনিষেধ মানছেন না সিলেটের পর্যটকরা’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগোনিউজ২৪.কম। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোরা সংক্রমণরোধে সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও এবার ঈদে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পর্যটন স্পট ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, জাফলং, উৎমা, নগরের লাক্কাতুরা চা-বাগান, কাজিরবাজার গার্ডার ব্রিজ (সেলফি ব্রিজ) এবং কিনব্রিজ এলাকায় ছিল তরুণ-তরুণীদের ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব পর্যটক মানেননি ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি।
জাফলং ও ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, লাক্কাতুরা এলাকায় মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে দল বেঁধে প্রবেশ আর ঘোরাঘুরি করেন পর্যটকরা। একই অবস্থা ছিল সেলফি ব্রিজ, কিনব্রিজসহ শহরতলির বিভিন্ন চা বাগানের পাহাড়ি উঁচু নিচু এলাকায়। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এখানে-ওখানে ঘোরেন তারা।
ছামির মাহমুদ/এসআর/এএসএম