খুলনা হাসপাতালে চালু হচ্ছে করোনা ইউনিট, বন্ধ থাকবে অন্য চিকিৎসা
১৯৩৫ সালে চালু হওয়ার পর প্রথমবারের মত সব বিভাগ বন্ধ করে খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ইউনিট করা হচ্ছে। আগামী ২০ জুন থেকে এ হাসপাতালের চালু হবে ৭০ শয্যার করোনার আরেকটি ইউনিট।
বুধবার (১৬ জুন) থেকে সরকারি এ হাসপাতালটিতে অন্যান্য সব সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণা সম্বলিত নোটিশ টাঙানো হয়েছে হাসপাতালের সামনে।
এদিকে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি রয়েছেন, তাদের আজকালের মধ্যে ছাড়পত্র দেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ছাড়পত্র পাওয়া রোগী অথবা নতুন রোগীরা কোথায় চিকিৎসা নেবেন সে বিষয়ে ইতিবাচক কোনো মন্তব্য দিতে পারেননি তারা।
এর আগে গত ১১ জুন খুলনা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় হাসপাতালের সব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা যায়, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় করোনা রোগীদের সেবা দেয়া হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের বাইরে ঝুলছে নোটিশ। আর হাসপাতালের গাইনি, সার্জারি, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে নেই কোনো মানুষ। কিছু ওয়ার্ডে ঝুলছে তালা, শয্যাগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। হাসপাতালের সেবিকারা পার করছেন অলস সময়।
খুলনা জেনারেল করেনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ বলেন, ‘২০ জুন থেকে ৭০ শয্যা নিয়ে চালু হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ইউনিট। তবে এখানে আইসিইউ ও এইচডিইউ সেবা পাবে না রোগীরা। নেই পর্যাপ্ত হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলা। সে ক্ষেত্রে অতি জরুরি রোগীকে নিয়ে যেতে হবে খুমেকের করোনা ইউনিটে। তবে লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট থাকায় হাসপাতালে সিলিন্ডার অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে না।’
করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘অর্গানোগ্রামে না থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে রোগীদের সেবা নিয়ে ভাবনায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।’
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘এরইমধ্যে বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল থেকে আটজন চিকিৎসক নিয়ে আসা হয়েছে। তারাই রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করবেন।’
আলমগীর হান্নান/এসএমএম/জিকেএস