করোনা বাড়ছে বরিশাল বিভাগে
বরিশাল বিভাগে গত ৮ দিন ধরে করোনা শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ২০ ডিসেম্বরের পর থেকে বিভাগে করোনা সংক্রমণ ১ শতাংশের নিচে থাকলেও ১ জানুয়ারি থেকে করোনা শনাক্ত ৩ শতাংশ অতিক্রম করেছে। দিন দিন করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে।
শনিবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। একই সময় নতুন করে বিভাগে ৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে ওই ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ জন। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী দুই জন। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনা বা উপসর্গ নিয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তিনি আরও জানান, মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশালে বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ৭৮ টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে করোনা আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ডা. মো. হুমায়ুন শাহীন খান বলেন, গত ২০ ডিসেম্বরের পর থেকে বিভাগে করোনা সংক্রমন ১ শতাংশের নিচে অবস্থান করছিল। কিন্তু ১ জানুয়ারি থেকে করোনা শনাক্তের হার ৩ শতাংশ অতিক্রম করে। গত ১ জানুয়ারি ছিল ৩ দশমিক ৭৭, ২ জানুয়ারি ৩ দশমিক ১৩, ৩ জানুয়ারি ৩ দশমিক ৭০, ৪ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৫৫, ৫ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৩৪, ৬ জানুয়ারি ৩ দশমিক ২৩, ৭ জানুয়ারি ৩ দশমিক ৮২ এবং আজ ৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত ১৮ দিনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে দেখা যায়, করোনা শনাক্তের হার গত ৮ দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী।
তিনি আরও বলেন, বহির্বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি দেশেও সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। বরিশাল বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা ঠেকাতে তিনি সাধারণ মানুষকে নিজে সচেতন হবার পাশাপাশি অন্যকে সচেতন করতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
সাইফ আমীন/এফএ/এএসএম