শীতলক্ষ্যায় হরহামেশা মিলছে সাকার ফিশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:২২ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছের দেখা না মিললেও ক্ষতিকর সাকার ফিশের দেখা মিলছে অহরহ। জাল ফেললেই উঠে আসছে এই সাকার ফিশ। অনেক সময় হাত দিয়েও এই মাছটি ধরা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে পথশিশুরা হাত দিয়ে মাছ ধরে নদীর পাড়েই বসে পড়ছে বিক্রি করতে।

যদিও খুব কম মানুষই এই সাকার ফিশ কিনে থাকে। তবুও তারা কিছু টাকা পাওয়ার আশায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই হাত দিয়ে এসব মাছ ধরছে। কখনও কখনও সাকার মাছের কাটায় হাত কেটেও যাচ্ছে তাদের।

শীতলক্ষ্যা নদীতে প্রায় সময়ই মাছ ধরে থাকেন মজনু মিয়া। তিনি বলেন, শিল্প কারখানর বর্জের কারণে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে নদীতে এখন আর মাছ পাওয়া যায় না। তবে ইদানিংকালে একটি কাটাওয়ালা মাছের দেখা মিলছে। লোকজনের মুখে শুনেছি এটাকে নাকি সাকার ফিশ বলে। এটা নাকি মাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মনে হচ্ছে নদী ভরে গেছে এই মাছে। জাল ফেললেই এই মাছ উঠে আসছে।

jagonews24

পথশিশু সুজন জানায়, সে পলিথিন টোকাই। মাঝে মধ্যে নদীতে নামে। আর এ সময় হাতে পায়ে মাছের মতো কি জানি লাগে। পরে হাত দিলেই এই কাটাওয়ালা মাছ পায়। একদিন অনেকগুলো মাছ ধরে নদীর পাড়ে বসেছিল। কিন্তু কেউ কেনেনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আয়নাল হক বলেন, এই সাকার ফিশ খাওয়ার উপযোগী না। অন্য দেশ থেকে এই মাছগুলো আমাদের নদীতে চলে এসেছে। কোনোভাবেই এই মাছটিকে দমন করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই সাকার ফিশটি অন্য মাছের খাবার খেয়ে ফেলে। ছোট মাছের ডিম খেয়ে ফেলে। এছাড়াও নদীর অন্যান্য উপাদানও খেয়ে ফেলে। এটা আমাদের জীব বৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকর। তাই সবাইকে বলবো এই সাকার ফিশ থেকে সতর্ক থাকার জন্য।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।