চার হাতি ও ১০ জলহস্তী দিনে খাচ্ছে দেড় টন খাবার

সায়ীদ আলমগীর
সায়ীদ আলমগীর সায়ীদ আলমগীর কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২২

প্রায় দুই যুগ ধরে কক্সবাজার অঞ্চলের প্রকৃতিপ্রেমীদের বিনোদনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদনে ১৯টি বেষ্টনীর মধ্যে সংরক্ষিত আছে বিচিত্র সব প্রাণী। এসব প্রাণীকে দিতে হয় নানা জাতের খাবার। সবচেয়ে বেশি খাবার দিতে হয় চারটি হাতি ও ১০টি জলহস্তীকে।

পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, পার্কের বিনোদন অনুষঙ্গ চারটি বিশালাকার হাতি ও দশটি জলহস্তীকে দৈনিক দিতে হয় দেড় হাজার কেজি নানা জাতের খাবার। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় তিনভাগে দেড় টন খাবার তাদের সামনে দিতে হচ্ছে।

zoo1

তিনি বলেন, একটি হাতিকে সকাল ও দুপুরে দিতে হয় ২২০ কেজি কলাগাছ। সন্ধ্যার আগে দিতে হয় ৩০ কেজি বিভিন্ন ধরনের সবজি। সঙ্গে পরিমাণ মতো পানিও। সে হিসেবে শুধু চার হাতির জন্য দরকার পড়ে দৈনিক ৮৮০ কেজি কলাগাছ এবং ১২০ কেজি সবজি।

একইভাবে একটি জলহস্তীকে দৈনিক ৫০ কেজি সবজি খাবার হিসেবে দিতে হয়। এতে দশটি জলহস্তীর জন্য দরকার পড়ে ৫০০ কেজি সবজি।

zoo1

বন কর্মকর্তা মাজহার আরো বলেন, ঠিকাদারের মাধ্যমেই আসে কলাগাছ ও সবজি। খাওয়ানোর আগে সবজিগুলো ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। কোথায় কোন জীবাণু থাকে খালি চোখে দেখা যায় না। তাই প্রাণীগুলোকে নিরাপদ রাখতে এ পদ্ধতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

zoo1

সূত্র মতে, পার্কের ভেতরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় উন্মুক্ত ও আবদ্ধভাবে রয়েছে হাতি, বাঘ, সিংহ, জলহস্তী, গয়াল, আফ্রিকান জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট, ভাল্লুক, বন্য শুকর, হনুমান, ময়ূর, স্বাদু ও লোনা পানির কুমির, সাপ, বনগরুসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির প্রাণী। পার্ক জুড়ে রয়েছে চিত্রা, মায়া, সম্বর ও প্যারা হরিণ। রয়েছে নাম জানা-অজানা বিচিত্র কয়েকশ ধরনের পাখি। এর পাশাপাশি পার্কে দেখা মেলে কালের সাক্ষী বিশালাকার দুর্লভ ও মূল্যবান বৃক্ষরাজি। সেসব গাছেই বানরের লাফালাফি নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।