সড়ক দখল করে চলছে ধান-খড় শুকানোর কাজ
জামালপুর সদর থেকে সরিষাবাড়ী যাওয়ার সড়কে সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ অবস্থায় রাস্তা দখল করে চলছে ধান ও খড় শুকানোর কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহনচালক ও পথচারীরা। বৃষ্টিতে খড় ভিজে সড়কে লেপটে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালপুর পৌর শহরের টিউবওয়েল পাড় থেকে শুরু করে পপুলার মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চেয়ে খুব দ্রুত এবং নিরাপদে জামালপুর শহরসহ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জে যাওয়া যায়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়েছিল।
এ নিয়ে ২০২১ সালে ৩ সেপ্টেম্বর জাগোনিউজ২৪.কম-এ ‘দুর্ভোগের আরেক নাম জামালপুর-সরিষাবাড়ী সড়ক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও খবর প্রকাশ পায়। বিষয়টি নজরে এলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে এ কাজ প্রায় শেষের দিকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশপাশের বিল ও মাঠ থেকে ধান কেটে কৃষকরা বাড়িতে না নিয়ে পাকা রাস্তায় মাড়াইয়ের কাজ করছেন। অনেকে আবার সড়কটিকে চাতাল হিসেবেও ব্যবহার করছেন। শুকানো হচ্ছে ভেজা খড়ও।
এ রাস্তা দিয়ে স্বপন ও আনোয়ারা দম্পতি মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেলযোগে যাতায়াত করে থাকেন। তারা জাগো নিউজকে বলেন, ‘খুব সহজে এ রাস্তা দিয়ে জামালপুর পৌর শহরে আসা যাওয়া করা যায়। কিন্তু চলতি মৌসুমে রাস্তার মধ্যে এভাবে ধান মাড়াই, ধান ও খড় শুকানোর ফলে রাস্তায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। রাস্তার উভয় পাশে ধান ও খড় বিছানো থাকায় বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে যেতে খুব ভয় লাগে।’
তারা আরও বলেন, ‘বৃষ্টিতে খড়গুলো রাস্তায় লেপটে পিচ্ছিল হওয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ব্রেক মারলেই দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানিও সম্ভাবনা রয়েছে।’
কথা হয় জামালপুর শহরগামী অটোরিকশাচালক আব্দুর রশিদের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, থ্রি হুইলার, বাস-ট্রাক চলাচল করে থাকে। একসময় রাস্তাটি ব্যাপক খানাখন্দে ভরা ছিল। তখন চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়েছে। এখন সংস্কার করায় চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু এভাবে সড়ক দখল করে ধান মাড়াই করায় আবারও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শুধু এ রাস্তায় নয় বিভিন্ন মহাসড়কেও এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। এ ব্যাপারে সাধারণ লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কথা না শুনলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/জিকেএস