ভ্যান হারিয়ে মুদিদোকান পেলেন ফুটবলার মাসুরার বাবা

সাফজয়ী জাতীয় নারী ফুটবল দলের অন্যতম ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীনের বাবার মুদিদোকান উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরতলীর বিনোরপোতা এলাকায় মাসুরার ঘরসংলগ্ন দোকানটি উদ্বোধন করা হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন বিনেরপোতা কলেজ মসজিদের ইমাম ইলিয়াসুর রহমান। এসময় জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাহিত্যিক সজল, মাসুরার বাবা রজব আলীসহ স্থানীয় গণমান্যরা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছেলেরা যা পারেনি, মেয়েরা তা পেরেছে: প্রধানমন্ত্রী
মাসুরার বাবা রজব আলী জাগো নিউজকে বলেন, মাসুরা সাফজয় করে বাড়িতে ফিরে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ভ্যান কিনে দেন। এরপর মাসুরার মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর ১৬ ডিসেম্বর রাতের কোনো একসময় বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ভ্যানটি চোরে নিয়ে যায়। একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম ভ্যানটি হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রজব আলী।
বিষয়টি জানতে পেরে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সাবেক সভানেত্রী ও সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জা দোকানটি করে দেন। দোকান তৈরি করতে প্রথমে ৩০ হাজার টাকা ও মালামাল কিনতে ২০ হাজারা টাকা দেন।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী মেয়েদের ৫ লাখ করে টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
মাসুরার বাবা রজব আলী বলেন, ‘বুধবার আসরের পর দোকানটি উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন খুব ভালো লাগছে। কিছুটা চিন্তামুক্ত হলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগে ভ্যানে করে সবজি ও ফল-ফলাদি বিক্রি করতাম। কয়েক বছর ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যবসা করতে পারিনি। মাসুরা ভ্যান কিনে দেওয়ার পর নতুন ভ্যানে করে অল্প কয়েকদিন সবজি বিক্রি করি। পরে চুরি হওয়ায় কিছুটা বিপদে পড়ে যাই। আমার চুরি যাওয়া ভ্যানটি উদ্ধারের পুলিশ প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে। তবে উদ্ধার হয়নি।’
আরও পড়ুন: সাড়ে ১০ লাখ টাকায় নির্মিত হচ্ছে রুপনা চাকমার ঘর
মাসুরার মা ফাতেমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বড় অপারেশন করতে হয়েছে। এতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। সব টাকা মাসুরা খরচ করেছে। এর মধ্যে ভ্যানটি চুরি হওয়ায় খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। দোকানটি করে দেওয়ায় আমরা অনেক খুশি।’
সাতক্ষীরা জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ফুটবলার মাসুরা পারভীন আমাদের এলাকার নয়, পুরো জেলার গর্ব। দোকানটি উপহার পেয়ে তাদের জন্য ভালো হয়েছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/এএসএম