বরগুনায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অধিকাংশই শিশু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

বরগুনায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও বেড়েছে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বরগুনা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে সোহানের (৫) বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘণ্টা হয়েছে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কর্তব্যরত কোনো ডাক্তার আসেনি। ভর্তির সময়ে চিকিৎসার জন্য শুধু স্যালাইন পেয়েছি প্রয়োজনীয় ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়।

আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্নতাকর্মী-নৈশপ্রহরী পদে ৭-৮ লাখ টাকা ঘুস দাবি! - 

মোসা. আয়শা নামে আরেকজন বলেন, রোববার সকালে আমার মেয়ে মুশফিয়া (৫ মাস) অসুস্থ হলে প্রথমে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় চিকিৎসা করতে চেয়েছি। কিন্তু অবস্থা ভালো মনে না হওয়ায় রাতে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

এদিকে খাজুরতলা এলাকা থেকে সকালে এসে ভর্তি হওয়া বৃদ্ধা ফরিদা (৬২) বলেন, দুইদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলাম। কিন্তু এখন পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ছেলে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

চিকিৎসকরা জানান, শীত বাড়লে সাধারণত ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত আরও অনেক রোগ বেড়ে যায়। মৌসুম পরিবর্তনে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কম বেশি হয়। গত মাসের তুলনায় বরগুনায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেড়েছে।

আরও পড়ুন: বরগুনায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে ‘আলোর দিশারী’

জানা যায়, বরগুনা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা আছে ১০-১২টি যা ভর্তি হওয়া রোগীদের তুলনায় কম। এ কারণে যদি রোগী ভর্তি বেড়ে যায় তখন চিকিৎসার জন্য ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বারান্দায়, মেঝেতে থাকতে হচ্ছে রোগীদের।

বরগুনা সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হয়েছে ১৮৪ জন। যার মধ্যে শিশু ১১৬, পুরুষ ৩০, নারী ৩৮ জন।

বরগুনা সদর হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন বলেন, হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য স্যালাইন এবং ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। অনেক সময় রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা নিজে থেকেই দ্রুত চিকিৎসা হবে মনে করে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনেন।

আরও পড়ুন: বরগুনায় মার্কেটে আগুন, ২০ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা

বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গত মাসের তুলনায় বরগুনায় ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে গত বছরের থেকে অনেক কম। আমাদের প্রয়োজনীয় স্যালাইন ওষুধ মজুত আছে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত জনবল প্রস্তুত আছে।

জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।