ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপ-নির্বাচন
দেড় ঘণ্টায় দুই বুথে পড়েনি একটি ভোটও
চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ আসনের সরাইল অন্নদা উচ্চ বিদ্যালয়ে সাতটি বুথ রয়েছে। এরমধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার দেড় ঘণ্টায় দুটি বুথে কোনো ভোট পড়েনি। একটিতে পড়েছে মাত্র এক ভোট। বাকি চারটিতে দেড় ঘণ্টায় পড়েছে ২৪ ভোট। ফলে অলস সময় পার করছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং, পোলিং ও এজেন্টরা।
সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ৩ হাজার ২৩৮ ভোট। ভোট শুরুর দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১০টায় ৪ নম্বর ও ৭ নম্বর বুথে কোনো ভোট পড়েনি। ৫ নম্বর বুথে ভোট পড়েছে মাত্র একটি।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ভোট শুরুর পর থেকে অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা রয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মীরা ছাড়া সারিবদ্ধ ভোটাদের চোখে পড়েনি। ভোটারের লাইন একেবারে ফাঁকা রয়েছে। অলস সময় পার করছেন পোলিং অফিসাররা। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন>> ভোট সাড়ে ৮টায়, এজেন্টদের কাগজ নিলেন ৯টায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, শতভাগ উপস্থিতি আশা করছি। আজকে আবহাওয়া মেঘলা। পাশাপাশি হয়তো প্রার্থীরা ভোটারদের মোটিভেট করতে পারেননি। তবে, সব জায়গা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আশা করছি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
এ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন- বিএনপির বহিষ্কৃত পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। এর মধ্যে জিয়াউল হক মৃধা প্রতীক বরাদ্দের পর বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপির সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, এমপিরা, জেলা ও উপজেলার নেতারা প্রচারণা করেছেন।
আরও পড়ুন>> ভোটার উপস্থিতি কম, এক ঘণ্টায় দুই কেন্দ্রে পড়লো ২৭ ভোট
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সরাইল ও আশুগঞ্জ দুই উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। সরাইলে ৯টি ও আশুগঞ্জে ৮টি ইউনিয়ন। মোট ১৭ ইউনিয়নের ১৩২টি কেন্দ্রে একসঙ্গে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন।
এর মধ্যে সরাইলের ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৪টি। আর আশুগঞ্জে ৪৮টি। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে দুই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দু’জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাঠে রয়েছেন, তারা সরাইল আর আশুগঞ্জ থাকবেন।
২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এ আসনে পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমএএইচ/এমএস