চিকিৎসক স্ত্রীর মামলায় বিচারক স্বামীকে গ্রেফতারের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রংপুরে চিকিৎসক স্ত্রীর করা মামলায় বিচারক স্বামী দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবা সুধাংসু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এই পরোয়ানা জারি করেন এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করার আদেশ দেন। অভিযুক্তরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট বাজার পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. হৃদিতা সরকার তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা করেন।

আসামিরা হলেন, ডা. হৃদিতা সরকারের স্বামী রংপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার (৩২), তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকার (৬০) এবং তাদের আত্মীয় ময়মনসিংহ জেলার গোলপুকুরপাড়া গ্রামের চন্দন দের ছেলে নিলয় দে সরকার (২৭) ও হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের সুধীর কুমার সরকারের ছেলে রঞ্জন সরকার (৫০)।

রফিক হাসনাইন আরও বলেন, মামলাটি আদালতের আদেশে রংপুর পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী নারাজি করেন। ফলে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে বুধবার সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন বিচারক।

বিচারক তদন্তের বিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবাংশু কুমার সরকার ও তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে সুধাংশু কুমার সরকারকে রংপুর থেকে বদলি করা হয়েছে।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল বাদীর জবানবন্দি রেকর্ডের পর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এর আগে ওই বছরের ১৭ এপ্রিল বাদী হৃদিতা সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ মামলা করলে আদালত ২১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু ওইদিন বিচারক না থাকায় ২৪ এপ্রিল শুনানি হয়।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি রংপুর মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করার পর বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত আছেন। ২০১৫ সালের ১১ মে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে বাদীর বাবা ৫০ ভরি সোনাসহ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেন। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই আসামি পুনরায় একটি নতুন গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান।


জিতু কবীর/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।