গৃহকর্মীকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৪
গ্রেফতার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেন

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেনকে (৩৫) ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তনয় সাহা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেনকে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আদালতে পাঠায়। পরে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একইদিন ভুক্তভোগী কিশোরীর (গৃহকর্মী) মা বাদী হয়ে ইসমাইলকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হালুয়াঘাট থানায় আসেন ইসমাইল হোসেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ।

আলোচিত ইসমাইল হোসেন হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে। তার স্ত্রীসহ দুই সন্তান রয়েছে।

মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানায়, ইসমাইল হোসেন এবং ওই কিশোরী পাশাপাশি গ্রামে বসবাস করেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। কিশোরী নিজ বাড়িতে কাজ করতো। ওই বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন ইসমাইল হোসেন। কিশোরীর মা বাড়িতে না থাকার সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করতেন।

একপর্যায়ে বাসার কাজ করানোর জন্য মাসিক বেতনে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান ইসমাইল হোসেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভনে ৫-৬ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছেন ইসমাইল। সম্প্রতি ওই কিশোরী বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। এতে ইসমাইল ক্ষিপ্ত হয়ে খুন করার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কিশোরীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আবার তাকে ধর্ষণ করেন ইসমাইল। পরে বিয়ের কথা বললে তিনি রাজি হননি। এ ঘটনায় কিশোরীর মা থানায় মামলা করেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।