আশুলিয়ায় ৩ পুলিশ হত্যায় দুই মামলা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে ও অপর মামলায় সংখ্যা উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহত পুলিশ সদস্য সোহেল রানার স্ত্রী রেশমা পারভীন ও নিহত অপর পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাব্বী আক্তার।

বিজ্ঞাপন

নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, ঢাকা জেলার ডিএসবি আশুলিয়া জোনে কর্মরত এএসআই সোহেল রানা ও এএসআই রাজু আহমেদ।

রফিকুল ইসলাম নামে অপর পুলিশ সদস্য রাজধানীর মালীবাগে স্পেশাল ব্রাঞ্চে এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নিহত সোহেল রানার স্ত্রী রেশমা পারভীনের মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে একদল অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়া থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। এসময় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ভুক্তভোগী এএসআই সোহেল রানা আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় পরিস্থিতি খারাপ দেখে তথ্য সরবরাহের পর জীবনের নিরাপত্তার জন্য সে থানার পাশে আফসার মণ্ডলের বাড়ির দ্বিতীয় তলার নিজ ভাড়া বাসায় চলে যায়। বিকেল ৪টার দিকে দুষ্কৃতিকারীরা থানা ঘেরাও করলে আতঙ্কে এএসআই রাজু আহমেদ, কনেস্টবল নাজমুল হক ও আতোয়ার হোসেন সহকর্মী সোহেল রানার বাসায় চলে যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়, এরপর দুষ্কৃতিকারীরা থানায় তাণ্ডব লীলা চালানোর এক পর্যায়ে থানার আশপাশের এলাকায় বসবাসরত পুলিশ সদস্যদের বাসা খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে ১০০-১৫০ জন দুষ্কৃতিকারী গেট ভেঙে ওই বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় সবাই মারা গেছে ভেবে দুষ্কৃতিকারীরা চলে যাওয়ার পর কনস্টেবল নাজমুল হক ও আতোয়ার হোসেন সজ্ঞা ফিরে পেয়ে কৌশলে সেখান থেকে চলে যায়। এসময় গুরুতর জখম এএসআই সোহেল রানার নিথর দেহ টেনেহিচড়ে বাসার নিচে নামিয়ে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতিকারীরা। তখন ওই বাসার ভিতরে এসআই রাজু আহমেদের লাশ পড়েছিল। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুষ্কৃতিকারীরা আবারও ওই বাসার নিচ থেকে পুলিশ সদস্য সোহেলের মরদেহ থানার সামনে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর নিহত পুলিশ সদস্য রাজু আহমেদের মরদেহ থানা সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।

নিহত অপর পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে আশুলিয়ায় ফেরার পথে গত ৫ আগস্ট উত্তেজিত জনতা পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলামকে পুলিশ সন্দেহে আটক করে। পরে পরিচয়পত্র পত্র দেখে পুলিশ সন্দেহ হওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যার পর ওভার ব্রিজে আরেক পুলিশ সদস্য রাজু আহমেদের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মাহফুজুর রহমান নিপু/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।