রপ্তানির জটিলতা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাস্টার সার্কুলার
রপ্তানি কার্যক্রম আরও সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে। ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই প্রকাশিত এ সার্কুলারে রপ্তানি সংক্রান্ত সব বিদ্যমান নির্দেশনা একত্রে সংকলিত হয়েছে। নির্দেশনা জারির তারিখ থেকে এক বছরের জন্য এটি বলবৎ থাকবে।
সার্কুলারে সাধারণ রপ্তানি নির্দেশনার পাশাপাশি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক থেকে রপ্তানি, রপ্তানি লেনদেনে নিরাপত্তাব্যবস্থা, ওপেন অ্যাকাউন্টে রপ্তানি, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ও অন্যান্য সেবা রপ্তানি, ই-কমার্স ভিত্তিক রপ্তানি, অন্ট্রাপো ট্রেড, মার্চেন্টিং ট্রেড ও কাউন্টার ট্রেডসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এতদিন রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য আলাদা আলাদা নির্দেশনার ওপর নির্ভর করতে হতো, যা অনেক সময় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতো। এখন একটি সার্কুলারেই সব নির্দেশনা থাকায় রপ্তানিকারক ও অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর জন্য নিয়ম অনুসরণ সহজ হবে। এতে রপ্তানি লেনদেন আরও ঝামেলামুক্ত ও গতিশীল হবে।
- আরও পড়ুন
- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি এ মাসেই, থাকতে পারে যেসব বিষয়
- জুলাইয়ে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার পাঠালেন প্রবাসীরা
এক শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বলেন, এই মাস্টার সার্কুলারের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত স্বচ্ছতা এসেছে। এখন আর বিভিন্ন সার্কুলার ঘেঁটে দেখতে হবে না- একটিতেই সব তথ্য ও নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এই মাস্টার সার্কুলারে ই-কমার্স এবং ডিজিটাল সেবা রপ্তানির মতো নতুন ও উদীয়মান খাতগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের আধুনিক প্রবণতার সঙ্গে যা সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ উদ্যোগ বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থা আরও সময়োপযোগী করবে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে খাপ খাওয়াবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, আমদানি, বৈদেশিক ঋণ, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগসহ অন্যান্য খাতেও মাস্টার সার্কুলার জারি করা হলে সামগ্রিকভাবে ব্যবসা সহজীকরণ ও স্বচ্ছতা বাড়বে।
ইএআর/কেএসআর/জিকেএস