প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির শামীমা-রাসেলের তিন বছরের সাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং এমডি মোহাম্মদ রাসেল/ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। আদালত আজ সাজার পরোয়ানা জারি করেছেন। এ রায়ের ফলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচারের অনুভূতি ফিরে আসবে।

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মো. আবুল কালাম আজাদ নামে এক ভুক্তভোগী ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক বাসুদেব সরকার পরের বছরের ২৭ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় দিলেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখে বাদী ১১টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। ইভ্যালি কোম্পানি থেকে ৭-৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তারা পণ্য সরবরাহ না করে উল্টো ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন।

এমআইএন/এমএমকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।