বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়িরা


প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ০৬ মে ২০১৫

সফররত চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত চাই শি বলেছেন, বর্তমানে চীনের বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ব্যবসায় স্থানান্তর ও বিনিয়োগে আগ্রহী। এক্ষেত্রে যৌক্তিক শ্রমমূল্য, অত্যন্ত সুশৃংখল, কঠোর পরিশ্রমী এবং দক্ষ শ্রম সম্পদ সম্পন্ন বাংলাদেশ চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা এ বৈঠক করেন।

সাক্ষাতের শুরুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চীনের বিশেষ দূতকে বাংলাদেশে পুনরায় স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশ ও চীন দু`দেশের মধ্যকার সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিনির্মানে রাষ্ট্রদূত চাই শির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এশিয়ান ইনফ্রাষ্ট্রার ব্যাংক (এআইবি) গঠনে চীনের উদ্যোগের  প্রশংসা করে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ ব্যাংক এশিয়ার দেশসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত চাই শি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোর আরও উন্নয়ন ঘটিয়ে উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, চীনের নিকট বাংলাদেশের অবস্থান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিশেষ করে এদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে চীন আগ্রহী এবং এ দেশের জনগণের কল্যানে তার দেশ সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা দিতে প্রস্তুুত।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত চাই শি বলেন, বর্তমানে চীনের বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ব্যবসায় স্থানান্তর ও বিনিয়োগে আগ্রহী। এক্ষেত্রে যৌক্তিক শ্রমমূল্য, অত্যন্ত সুশৃংখল, কঠোর পরিশ্রমী এবং দক্ষ শ্রম সম্পদ সম্পন্ন বাংলাদেশ চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষনীয় গন্তব্য।

বাংলা ভাষায় পারদর্শী রাষ্ট্রদূত চাই শি বাংলা শিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি তার ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসে অ্যাটাসে, দ্বিতীয় সচিব, প্রথম সচিব, কাউন্সেলর সবশেষে ২০০৩ সালে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। দায়িত্ব শেষে তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা ত্যাগ করেন। বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় আবাসভূমি হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত চাই শি বলেন, বাংলাদেশের জন্য তার হৃদয় রয়েছে বিশেষ স্থান ও মমতা।

এছাড়া ঢাকা শহরের সৌন্ধর্য বর্ধন, ঢাকা- চট্টগ্রামের মধ্যে উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, অবকাঠামো নির্মানে অর্থায়ন, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, মানব পাচার ইত্যাদি বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

এসএ/আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।