দেশ বিনির্মাণে অবদান রাখায় ৯ সংগঠন পেল সম্মাননা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

মুক্তিযুদ্ধকালীন ও স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখায় ৯ সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এফবিসিসিআইয়ের ১৬ দিনব্যাপী ‌‘বিজয়ের ৫০ বছর: লাল সবুজের মহোৎসব’-এর ১৪তম দিনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

ছায়ানটের পক্ষে সংগঠনটির সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম (শাকিল) সম্মাননা নেন। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আলম তপন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গোলাম মোহাম্মদ ইদু, খেলাঘরের পক্ষে প্রেসিডিয়াম সদস্য কামাল চৌধুরী ও শমী কায়সার, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের পক্ষে মহাসচিব কামাল বায়েজীদ সম্মাননা নেন। এছাড়া বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের পক্ষে নাসির উদ্দিন ইউসুফ, কচি-কাঁচার মেলার পক্ষে সহ-সভাপতি আল্পনা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুঈদ চৌধুরী ওয়ালিদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পক্ষে ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষে ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা জাকের এবং প্রজন্ম ‘৭১-এর পক্ষে সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময়, সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস সম্মাননা গ্রহণ করেন।

এসময় এফবিসিসিআইয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা। ভবিষ্যতেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নতির স্বপ্ন দেখে সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যখন বুঝলেন বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতিতে স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই, তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপ বাঙালি জাতি আজ খাদ্যে পরিপূর্ণ, রাস্তাঘাট উন্নত। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৭১-এর এদিনে আমরা শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করা হয় এদিনে। ঘাতকরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে হত্যা করতে; কিন্তু তারা জানে না ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়, ব্যক্তির আদর্শকে না। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক কলঙ্কের অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এদিনে। কিন্তু তাদের পরিকল্পিত চক্রান্ত সফল হয়নি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। সংগঠনগুলোকে এই সম্মাননা দিতে পেরে গর্বিত মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজ এই পর্যায়ে আসার পেছনে সংগঠনগুলোর অবদান অনেক।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই দিনে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে সেসব মানুষ যাদের জন্য আজকের এই লাল সবুজ পতাকা। এসময় বঙ্গবন্ধুর নামে তুরস্কে পার্ক হওয়ার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, এই পার্ক দিয়ে মানুষ যতদিন হাঁটবে ততদিন তারা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে।

ইএআর/এআরএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।