ভিড় নেই দর্জির দোকানে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২
ঈদ ঘনিয়ে এলেও তেমন ব্যস্ততা নেই দর্জির দোকানগুলোতে

পবিত্র ঈদুল ফিতরে শপিংমলগুলোর সঙ্গে সমানতালে ভিড় থাকে দর্জির দোকানগুলোতে। গত দুই বছর করোনার কারণে সেই ভিড়ে ভাটা পড়লেও এবার পুরোদমে কাজ পাওয়ার আশা ছিল দর্জি দোকানিদের। সেই গত দুই বছরের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশাও ছিল তাদের। কিন্তু এবার ঈদের আগে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। করোনা সংক্রমণ কমে আসলেও দর্জির দোকানগুলোতে এখনো লাগেনি ঈদের আমেজ।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড ও ধানমন্ডি এলাকার দর্জি দোকানগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ছোট ছোট দর্জির দোকানসহ বড় বড় টেইলর্সেও একই চিত্র।

দোকানিরা জানান, এবারের ঈদে গ্রাহকের তেমন চাপ নেই। শবে বরাতের পর গ্রাহকের কিছুটা চাপ থাকলেও রোজা শুরুর পর তা একেবারেই কমে গেছে।

এলিফ্যান্ট রোডের বেলমন্ড টেইলর্স অ্যান্ড ফেব্রিকস’র ম্যানেজার সিফাত জাগো নিউজকে বলেন, এবারের ইদে একেবারেই চাপ কম। ক্রেতা কম আসছেন। করোনা মহামারির আগে রোজার এই সময়ে আমরা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিতাম। অনেক চাপ থাকতো তখন। কিন্তু এবার চাপ কম, এখনো আমরা অর্ডার নিচ্ছি। শবে বরাতের পর ক্রেতাসমাগত কিছুটা ভালো ছিল। তবে রমজানে এসে তা কমে গেছে। হয়তো রেডিমেড পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

ভিড় নেই দর্জির দোকানে

টপটেন টেইলর্স অ্যান্ড ফেব্রিকস’র ম্যানেজার হাসানও প্রায় একই ধরনের কথা জানান। তিনি জানান, যতটা ক্রেতাসমাগম আশা করেছিলেন, তেমন সাড়া পাচ্ছেন না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক সংকট একটি কারণ হতে পারে। এছাড়া মানুষের পছন্দে ভিন্নতাও আসতে পারে। তবে করোনায় বড় দুরবস্থা গেলেও তা এখন কমে এসেছে। এরপরও আগের মতো ব্যবসা ফেরেনি।

ধানমন্ডি এলাকার একটি গলিতে সুমাইয়া টেইলর্সের মালিক ইসমাইল বলেন, এখানে কিছু ক্রেতা পাচ্ছি। কম হলেও করোনায় যে কঠিন সময় পার করেছি তা থেকে বের হয়ে এসেছি। আমাদের তো স্থানীয় কিছু কাস্টমার থাকে। ছোটখাটো কাজ পাই।

তবে বেশিরভাগ দোকানিই জানান, এবার ঈদে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রোজার বাকি সময়ে গ্রাহকের চাপ বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।

এএএম/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।