এবার রুহ্ আফজা’র পুঁথি পাঠ করলেন ফজলুর রহমান বাবু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ০৬ মার্চ ২০২৩

ব্যতিক্রমী চরিত্রের অভিনয় আর লোকজ সুরের কণ্ঠ দিয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশের মানুষকে মুগ্ধ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। এবার তিনি করলেন আরেকটি ভিন্নমাত্রিক কাজ। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শরবত রুহ্ আফজা সম্পর্কিত একটি পুঁথিগানে অংশ নিলেন এই অভিনেতা।

গাজীপুরের আশুলিয়ার ইয়ারপুরের দৃষ্টিনন্দন সবুজ প্রকৃতিতে চিত্রায়ন হয়েছে এটি। শত বছর আগে গ্রামবাংলার মানুষের প্রিয় সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ ছিল পুঁথিপাঠ। সেই ঐতিহ্যকে সামনে রেখে উপমহাদেশের মানুষের কাছে পছন্দের শরবত রুহ্ আফজাকে নতুনমাত্রায় উপস্থাপন করা হয়েছে। পুঁথিপাঠে কণ্ঠ দিয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু ও শিফা আহমেদ।

আরও পড়ুন: বেইলি রোডের বাহারি শরবত

হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার দিকনির্দেশনায় বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেন আমিরুল মোমেনীন মানিক। সঙ্গীত পরিচালনা করেন অণু মুস্তাফিজ, চিত্রগ্রহণ করেন মাহমুদুল হাসান, সম্পাদনা ও রঙ বিন্যাসে ছিলেন আবু সাইদ খান এবং ব্যবস্থাপনায় এ ই এম বোরহান উদ্দিন।

এ প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ব্যতিক্রমী একটি কাজ করলাম। পুঁথিপাঠ যেমন শত বছরের ঐতিহ্য, ঠিক তেমনি রুহ্ আফজাও। অসাধারণ লোকেশন এবং গল্পের এই পুঁথিপাঠের মধ্যদিয়ে ব্রিটিশ শাসনকাল এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে দেশীয় হালাল শরবত রুহ্ আফজা’র উত্থানের কাহিনী উঠে এসেছে। শুধু বিজ্ঞাপনের জন্য নয়, বরং দেশীয় সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবনেও ভূমিকা রাখবে এটি।

আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ইফতারে রাখুন বেলের শরবত

এ প্রসঙ্গে নির্মাতা আমিরুল মোমেনীন মানিক বলেন, হারিয়ে যাওয়া পুঁথিকে ফিরিয়ে আনতে তৈরি করা এই বিজ্ঞাপন-সিনেমাটি নতুন প্রজন্মের কাছে খুব উপভোগ্য হবে। ফজলুর রহমান বাবুসহ সব কলাকুশলী হৃদয় দিয়ে কাজ করেছেন। আশা করা যায়, এটি দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে দেবে।

জানা গেছে, দু-একদিনের মধ্যে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনলাইনে সব প্লাটফর্মে প্রচারিত হবে বিজ্ঞাপন ‘পুঁথিপাঠে রুহ্ আফজা’র গল্প’।

জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।