শুরুতে ক্রেতা সংকটে পৌনে একশ প্রতিষ্ঠান

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে প্রায় একশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রেতা সংকটে পড়েছে। ক্রেতা না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট খুব একটা লেনদেন হচ্ছে।
তালিকাভুক্ত বড় অংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় লেনদেনেও তার প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে মূল্যসূচকে বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক অন্তত চারবার ওঠানামা করেছে। এর মধ্যেই দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চারভাগের একভাগ দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পারাই সূচক কিছুটা পজিটিভ রয়েছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় একশ কোটি টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি এ বাজারটিতে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের দ্বিতীয় মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ হয়ে বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় ১০ মিনিট হওয়ার আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
অবশ্য প্রথম ১৫ মিনিটের লেনদেন শেষে সূচক আবার উপরের দিকে উঠতে থাকে। এতে লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এ দফাতেও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। এতে দেখতে দেখতে আবারও সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৫০ মিনিটে ডিএসইতে ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১২টির। আর ৯২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর মধ্যে ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে ৭৬ প্রতিষ্ঠানের। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুল বিক্রির আদেশ আসলেও ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে আছে।
একদিকে ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়া, অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল বিক্রির আদেশ আসায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা তা বিক্রি করতে পারছেন না।
বাজারের এ পরিস্থিতিতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৬২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮টির, কমেছে ২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
এমএএস/বিএ/এমএস