শুল্ক নির্ধারণে ভুল, ৩৯ কোটির গাড়ির ব্যয় বেড়ে ২৬৯ কোটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৫ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে নেওয়া চলমান এক প্রকল্পে গাড়ি কেনা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি টাকা। তবে এ প্রকল্পের খরচে কাস্টমসের সিডি/ভ্যাট আরোপের বিষয় যথাযথভাবে রাখা হয়নি। কিন্তু আমদানির পর ওইসব গাড়ির অধিকাংশের শুল্ক নির্ধারণ করা হয় ৮২৬ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে ৩৯ কোটি টাকার গাড়িতে শুধু শুল্ক বাবদ খরচ হচ্ছে ২৬৯ কোটি টাকার ওপরে। এ কারণে পুরো প্রকল্প সংশোধন করে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ২৮৮ শতাংশ।

জানা যায়, প্রকল্পের গাড়িগুলো ঠিক সময়ে জাপান থেকে দেশে আসে। চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা। অথচ ভ্যাট/ট্যাক্স সংক্রান্ত ভুলের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৯ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) দশম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনুমোদনের জন্য যেসব প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়, সেগুলোতে নতুন করে ব্যয় বাড়বে এক হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। আজকের একনেকে অনুমোদন পেতে যাওয়া ৯ প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা।

একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

অনুমোদিত ৯ প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি (১ম সংশোধিত)’। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অথচ ভুলের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩০৯ কোটি টাকা। প্রকল্পে জাইকার সহায়তা ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা ছিল। তবে এ সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০২৩ সালের জুন নাগাদ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রকল্প এলাকা: ঢাকা জেলার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রধান কার্যক্রম: আর্মাড ভেহিকল ১২টি, এসকর্ট ভেহিকল ২০টি এবং ফ্লাড লাইট ভেহিকল ৫টি।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ: প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে শুল্ক কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক সিডি/ভ্যাট আরোপের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফ্লাড লাইট ভেহিকলকে স্পেশাল পারপাস ভেহিকল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর্মাড ভেহিকল ও এসকর্ট ভেহিকলকে বেস ভেহিকেল হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী এগুলোর অনুকূলে সিডি/ভ্যাট (ক্রয়কৃত ভেহিকল মূল্যের ৮২৬ শতাংশ) ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার কারণেও ব্যয় বাড়ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বাড়বে। এর মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ কারণে প্রকল্পটির সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদনযোগ্য বলে মতামত দেয় পরিকল্পনা কমিশন।

এমওএস/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।