দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চলমান রাখতে সময়-ব্যয় বৃদ্ধি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ এএম, ২৪ মার্চ ২০২৩

২ লাখ ৭৫ হাজার পাঠকের সৃজনশীল বইয়ের পাঠাভ্যাসের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি চলমান রাখবে সরকার। এজন্য ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প (২য় সংশোধিত)’ অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধিসহ ব্যয়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর।

পরিকল্পনা বিভাগ জানায়, মূল অনুমোদিত প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। নতুন করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৩৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১১১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

৭৬টি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ইউনিট পরিচালনার মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ৩৬৮টি উপজেলা/থানার ৩ হাজার ২০০ স্পট/এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু-কিশোরদের জন্য বই পড়ার বিকল্প উৎস তৈরি করা। প্রকল্প এলাকায় প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার জন পাঠকের সৃজনশীল বইয়ের পাঠাভ্যাসের উন্নয়ন ঘটানো এবং সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান ও সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৭০০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ২২ হাজার অনুষ্ঠান করা।

প্রধান কার্যক্রম

৫ হাজার ৪০৪টি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি-লাইব্রেরি ও মাইক্রোবাস হায়ারিং চার্জ, ২৫ হাজার বই ও সাময়িকী কেনা, আউটসোর্সিং সেবা কেনা। একটি মোটরযান রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, সাত সেট কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ কেনা, তিনটি অফিস সরঞ্জাম (ফটোকপিয়ার) কেনা, ৫০টি আসবাবপত্র কেনা, একটি কম্পিউটার সফ্‌টওয়্যার (অ্যাপসসহ) এবং অন্যান্য (কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি, প্রচার ও বিজ্ঞাপন, জ্বালানি ইত্যাদি পরিশোধ করা।

আরও পড়ুন>> বই পড়ার বিকল্প উৎস: দুই বছরে লাগবে আরও ৩৮ কোটি

প্রকল্প সংশোধনের কারণ

মোবাইল লাইব্রেরির সেবা অব্যাহত রাখা, কতিপয় খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাস, কতিপয় অঙ্গ সংযোজন ও বিয়োজন এবং প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি।

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, প্রকল্পটির আওতায় দেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মান উন্নয়নের প্রয়োজনে সৃজনশীল পঠন-পাঠন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রান্তিক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৭৬টি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ইউনিটের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ৩৬৮টি উপজেলা/থানার ৩ হাজার ২০০ স্পট/এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু-কিশোরদের জন্য বই পড়ার বিকল্প উৎস তৈরি করা, প্রকল্প এলাকায় প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার পাঠকের সৃজনশীল বইয়ের পাঠাভ্যাসের উন্নয়ন ঘটানো এবং সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান ও সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৭০০টি সাংস্কৃতিক সংঘ গঠন এবং ২২,০০০টি অনুষ্ঠান করা হবে।

তিনি বলেন, জনগণের মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে দেশের সবগুলো জেলা-উপজেলায় মানুষের দোরগোড়ায় সৃজনশীল পঠন-পাঠন ও নানামুখী সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এমওএস/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।