ইউনাইটেড এয়ারের পর্ষদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি

শেয়ারবাজারের বহুল আলোচতি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের আগের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পূর্ববতী পরিচালনা পর্ষদের (বোর্ড অব ডিরেক্টরস) কার্যক্রমের ওপর সংগঠিত অনুসন্ধান পরবর্তী দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
২০১০ সালে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ শেয়ারবাজারের বহুল আলোচিত কোম্পানি। লোকসানের নিমজ্জিত কোম্পানিটি বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ায় ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে মূল মার্কেট থেকে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিএসইসি।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারের বিনিয়োগকারী ছিলেন এক লাখ ৬০ হাজার, যাদের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এরপর গত বছরের জুনে নতুন গঠিত পরিচালনা পর্ষদ ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে আট সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গত বছরের ২৯ জুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বেবিচকের পাওনা ৪০০ কোটি টাকা মওকুফের আবেদন জানানো হয়। এর মধ্যে সারচার্জ বাবদ ৩০০ কোটি ও মূল বকেয়া পাওনা ৫৬ কোটি টাকা। বাকি ৪৪ কোটি টাকা পাওনা আয়কর ও ভ্যাট বাবদ।
অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ প্রথম বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে ২০০৭ সালে। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে মোট ৩৬টি রুটে কোম্পানিটির ফ্লাইট কার্যক্রম চালু ছিল।
একপর্যায়ে ক্ষতির মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। ধীরে ধীরে ফ্লাইট কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দেউলিয়া হয়ে ২০১৬ সালে কোম্পানিটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
এমএএস/কেএসআর/এমএস