গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের শাসক নয়, সহায়তাকারী হতে হবে
অধিদপ্তর, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রাথমিকের কর্মকর্তাদের শাসক নয় বরং সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা শাসক নয়, সহায়তাকারীর। তাদের কাজ হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোতে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধানে সহায়তা করা। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা। যদি সবাই এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পারে, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষার প্রকৃত উন্নয়ন ঘটবে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জনগণ। তাই দেশের মানুষকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রমুখ।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা রংপুর আরডিআরএস সেন্টারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কর্মসূচির রোলআউট সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাদের পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে এ খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে ৫ দিন (স্কুল কর্মদিবসে) পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হবে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং বিভাগের প্রধান এমা লেফু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
এএএইচ/এমএএইচ/এমএস