সেমিনারে বক্তারা

‘সুলতানার স্বপ্ন’ লেখার শতবছর পরও সমাজে নারীরা চ্যালেঞ্জের মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৭ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২৫
সেমিনারে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনসহ অন্যরা

বেগম রোকেয়ার কালজয়ী নারীবাদী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ গ্রন্থ লেখার শতবছরের বেশি পার হলেও আমাদের সমাজে আজও নারীরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। বাল্যবিয়ে, ক্ষমতায়ন ও সম্পত্তিতে নারীদের অধিকারও এখনো সীমিত। রাজনীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বল্প অংশগ্রহণ নারীদের এখনো প্রান্তিক করে রেখেছে। এ থেকে উত্তরণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

সম্প্রতি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ গ্রন্থ ইউনেস্কোর ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ স্বীকৃতি উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।

রোববার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর আফতাবনগরে অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সেমিনারে ১৯০৫ সালে লেখা সুলতানার স্বপ্ন বইটির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বইটির মাধ্যমে বেগম রোকেয়া নারীশাসিত এমন একটা আদর্শ ‘নারীল্যান্ড’-এর স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে নারীর নেতৃত্ব, সমতা, শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করা হয়েছিল।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া মান্নান।

সেমিনারে বক্তারা বেগম রোকেয়ার স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং বৈষম্য দূর করতে নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, এসব ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন করলে নারীরা নেতৃত্বস্থানীয় পদে আসীন হতে পারবেন এবং উন্নয়নে অর্থবহ অবদান রাখতে পারবেন।

এএএইচ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।