পাসের হারে এগিয়ে ঢাকা বোর্ড, পিছিয়ে কুমিল্লা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
এইচএসসির ফলাফল দেখছেন ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী/ছবি: মাহবুব আলম

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে ধস নেমেছে। সোয়া ১২ লাখের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেছে পাঁচ লাখেরও বেশি। যেখানে ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিপরীতে পাসের হারে সবচেয়ে পেছনে রয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে ফল প্রকাশের পর ফলাফলের তুলনামূলক চিত্রে এ তথ্য উঠে আসে।

এ বছর সবচেয়ে বেশি পাস করা ঢাকা শিক্ষা রোর্ডে মোট পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম পাস করা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

অন্যদিকে রাজশাহীতে ৫৯ শতাংশ ৪০, যশোরে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বরিশালে ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সিলেটে ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, দিনাজপুরে ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

আরও পড়ুন
এইচএসসিতে পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবছর গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, অর্থাৎ ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পাসের হার শূন্য। গত বছর শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি।

এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সব দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। এ বছর ছাত্রীদের পাসের হার প্রায় ৬৩ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার প্রায় ৫৫ শতাংশ।

এইচএসসিতে এবছর গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বিগত ১০ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৬ সালে এইচএসসিতে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৬৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০০ শতাংশ (অটোপাস), ২০২১ সালে ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০২৪ সালে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এএএইচ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।