নভেম্বরের শেষ দিকে সীমিত পরিসরে খুলতে পারে স্কুল-কলেজ
চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আগে করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি আগে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ জন্য সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস করানো হলেও সশরীরে ক্লাস করানো সম্ভব না হওয়ায় কেউ কেউ পিছিয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা হবে। এরপর একটি মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর যারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।’
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা পেছানো হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা পেছানোর এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নিয়ে তা কিছুটা পিছিয়ে আয়োজন করা হবে। তার আগে আমরা সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘নতুন করে আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে আমরা মনিটরিং করে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ফের বাড়ানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নেয়া হবে না বার্ষিক পরীক্ষাও।
এমএইচএম/এফআর/পিআর