শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০
ফাইল ছবি

অডিও শুনুন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ফের বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এ সময়ের মধ্যে কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়- সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। এ সময় আমাদের মনিটরিং কাজ চলবে। দুই সপ্তাহ পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি-না, তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির জন্য গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ ছুটি নতুন করে আরও ১৪ দিন বাড়ানো হচ্ছে। এরপর সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায় কি-না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‌কেউ চাইলে ভর্তি পরীক্ষা সশরীরে নিতে পারেন। একটি স্বার্থের কথা চিন্তা না করে শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে আগে দেখতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সকলে যদি সশরীরে পরীক্ষা নেয়া শুরু করেন, তবে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে তা ভেবে দেখা হবে। সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট কমবে ও সময় ব্যয় কম হবে।’

‘সীমিত আকারে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খুলে দেয়া যায় কি-না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। যেহেতু এ স্তরের শিক্ষার্থীরা ছোট নয়, তাই কীভাবে এগুলো খুলে দেয়া যায় সেসব বিষয় নিয়ে ভাবা হচ্ছে। প্রয়োজনে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের শিক্ষার্থীদের ভাগ করে বসিয়ে যদি ক্লাস নেয়া যায়- এমন নানা ধরনের ভাবনা আমাদের রয়েছে। সময় অনুযায়ী সব সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। বাতিল করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নেয়া হবে না বার্ষিক পরীক্ষাও।

চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আগে করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এমএইচএম/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।