এবার নতুন বছরে বই উৎসব হচ্ছে না
গত কয়েকবছর ধরেই পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। এ জন্য দুই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে আলাদা পাঠ্যবই উৎসব পালন করা হলেও এবার তা না করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে (ভার্চুয়াল) শিক্ষামন্ত্রী এমন কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে, নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেয়া, সেটি মাথায় রেখেই ৩৬ কোটি নতুন বই প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব করা সম্ভব না হলেও কীভাবে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া যায় সেই কাজটি করা হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও যাতে পড়ালেখা থেকে কেউ দূরে সরে না যায় এ জন্য নির্ধারিত সময়ে নতুন ক্লাসের বই তুলে দেয়া হবে। নতুন বই হাতে পেলে শিক্ষার্থীরা আবারও পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কেউ আর বাসায় বসে থাকতে চাইবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন করে আরও ১৪ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ালেও এ সময়ের পর সীমিত আকারে খোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে বা ভাগ ভাগ করে সশরীরে ক্লাস নেয়া হতে পারে। তবে সকল কিছু স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ফের বাড়ানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নেয়া হবে না বার্ষিক পরীক্ষাও।
এমএইচএম/এফআর/পিআর