ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৩

ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন একেবারেই বাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘দেশ এগিয়ে চলছে’ প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এ এগিয়ে চলা একটি বইয়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে যতটুকু সম্ভব তা এ বইয়ে আছে। আমাদের অর্থনীতি ও অগ্রগতি নিয়ে অনেক তথ্য আছে বইটিতে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের অন্তর্বর্তীমূলক উন্নয়ন সূচকে ২০১৮ সালের র‌্যাংকিংয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে ২৮ ধাপ ও পাকিস্তানের চেয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে। প্রবৃদ্ধি উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তীকরণ, প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দিয়েছে তারা।

মন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের অনেক বিদ্রূপ শুনতে হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে বলা হতো ডিজিটাল বাংলাদেশ। আগে এসব কথা শুনতে হলেও এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ একেবারেই বাস্তবতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বটি যিনি পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আজ ৫৩তম জন্মদিন। আমি এ মঞ্চ থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

jagonews24

তিনি বলেন, একজন মানুষ যদি সঠিক সময় সঠিক কাজটি করতে পারে, তা যে কত বড় সাফল্য বয়ে আনতে পারেন, তিনি তার প্রমাণ। ১৭ কোটি মানুষের জীবনে একটি বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন তিনি এবং বিশাল সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে এ ডিজিটাল বাংলাদেশ। যোগাযোগখাতে যা ঘটেছে, তাকে বিপ্লব বললেও কম বলা হবে। এক পদ্মা সেতুর কারণে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ তাদের জীবনটাকে যেভাবে দেখতেন, সেই দেখাটাও বদলে গেছে। একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের যে একটা ইতিহাস ছিল, সেটা অনেকের কাছে বিস্মৃত। সে কারণে অনেকেই আমাদের পরামর্শ দিতে আসেন। আমাদের ইতিহাস হচ্ছে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র সুরক্ষায় সংগ্রাম করেছি। এতে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আর কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি।

আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের কাহিনী অনেকেই জানেন না। এখন বিশ্বকে আমাদের উন্নয়ন জানতে প্যাকেজ গ্রহণ করেছি। যেসব দেশে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা আছে, তারা অর্থনৈতিকভাবে সফল হয়। আমরা আভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা চাই। যে কারণে আমরা সব অংশীজনদের বোঝাবো, কোনো ওজর দিয়ে যাতে আভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করা না হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, কৃষিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম।

আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।