করোনায় মারা গেছেন বিখ্যাত নির্মাতা কিম কি দুক
বিশ্ব শোবিজে একের পর এক শোক নামিয়ে চলেছে মহামারি করোনা। এবার এই ভাইরাসের শিকার হয়ে প্রাণ গেল বিখ্যাত কোরিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা কিম কি দুকের। আজ ১১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাতে ইউরোপের লাটভিয়ার তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে এই খ্যাতিমান নির্মাতার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৯ বছর।
লাটভিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম ডেলফি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে লাটভিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কিমের মৃত্যুর বিষয়ে।
ডেলফি জানায়, গত ২০ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে লাটভিয়ায় আসেন কিম কি দুক। দেশটির রাজধানী রিগার সাগর তীরবর্তী এলাকায় একটি বাড়ি কেনার কথা ছিলো তার। বাড়ি কেনার নির্ধারিত মিটিংয়ের দিনে কিমের অনুপস্থিতি দেখে সহকর্মীরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা কিমকে না পেয়ে হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নেন।
অবশেষে জানতে পারেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমাকে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন কিম কি দুক। তিনি ১৯৬০ সালের ২০ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বোংঘোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্যারিসে ফাইন আর্টস বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশে ফিরে শুরু করেন চিত্রনাট্য লেখার কাজ। ১৯৯৫ সালে কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পান তিনি।
কিম ১৯৯৬ সালে ‘ক্রোকোডাইল’ নামক একটি স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার বাজিমাত করার শুরু ২০০০ সাল থেকে। সে বছর তার ‘রিয়াল ফিকশন’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটি ‘২৩তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে’ জায়গা করে নেয়।
২০০৪ সালে ‘বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে’ ‘সামারিটান গার্ল’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ‘ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে’ ‘৩-আয়রন’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সেরা পরিচালকের সম্মানে ভূষিত হন।
২০১২ সালে তার পরিচালিত ‘পিয়েটা’ ভেনিস, বার্লিন ও কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের সম্মান লাভ করে এবং ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন লায়ন’ পুরস্কার লাভ করে।
এলএ/জেআইএম