শুরু হচ্ছে শাবানা সপ্তাহ


প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৫

বাংলা চলচ্চিত্রে সর্বকালের সেরা জনপ্রিয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী শাবানা। তার অভিনীত ছায়াছবি নিয়ে এটিএন বাংলায় শুরু হচ্ছে ‘শাবানা চলচ্চিত্র সপ্তাহ’।

প্রতি রবি থেকে বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিট এবং বৃহস্পতি থেকে শনিবার দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে শাবানার ছবি এটিএন বাংলায় প্রচার হবে।

শাবানা সপ্তাহের প্রথম দিন ১৫ মার্চ, রবিবার প্রচার হবে বেলাল আহমেদ পরিচালিত ‘ঘর আমার ঘর’ ছবিটি। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, সুচরিতা প্রমুখ। ১৬ই মার্চ প্রচার হবে বাদল খন্দকার পরিচালিত ‘বিশ্বনেত্রী’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা, জসিম, আমিন খান, শাহনাজ। ১৭ মার্চ প্রচার হবে বেলাল আহমেদ এর ‘বন্ধন’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা, আলমগীর, চম্পা, ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ। ১৮ মার্চ প্রচার হবে মোস্তফা আনোয়ার এর ‘বাংলার মা’ এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা, আলমগীর, অমিত হাসান, শাবনাজ প্রমুখ। ১৯ মার্চ প্রচার হবে মো. শাহাবুদ্দিন পরিচালিত ‘সন্ধান’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা, রাজ্জাক, রানী, রাজিব, সুজন প্রমুখ। ২০ মার্চ প্রচার হবে কামাল আহমেদ এর ‘ব্যাথার দান’। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা, আলমগীর, দিলারা প্রমুখ।

এছাড়া শাবানা সপ্তাহের শেষ দিন ২১ মার্চ প্রচার হবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘ভাবীর সংসার’ ছায়াছবি। এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাবানা, জসিম, সুনেত্রা, নাসরিন প্রমুখ।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র ও জীবন্ত কিংবদন্তি চিত্র নায়িকা শাবানা। তার পুরো নাম আফরোজা বানু। ডাকনাম রত্না। জন্ম- চট্রগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। বাবার নাম ফয়েজ চৌধুরী আর মা ফজিলাতুন্নেসা।

১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয়। এরপর ১৯৬৩ সালে উর্দু ‘তালাশ’ ছবিতে নাচের দৃশ্যে অংশ নেন। তারপর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে এক্সট্রা হিসেবে কাজ করেন। ‘আবার বনবাসে রূপবান’ এবং ‘ডাক বাবু’ সিনেমাতে তিনি সহনায়িকার কাজ পান।

১৯৬৭ সালে পরিচালক এহতেশাম এর ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে চিত্র নায়িকা হিসেবে সিনেমায় আবির্ভাব। প্রথম দিকে তিনি উর্দু সিনেমাতেই বেশি কাজ করেন। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ না থাকায় মাত্র ৯ বছর বয়সে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি ঘটে। ১৯৬৭ থেকে পরবর্তী ৩০ বছর বাংলাদেশের অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ চলচ্চিত্র-অঙ্গন থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ২০০০ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

তিনি তার সময়ে মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, রুমানিয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ আরো বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন।

শাবানা এযাবতকালে মোট ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি প্রথম এই পুরস্কার পান ‘জননী’ সিনেমার জন্য। এরপর ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৭, ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৪ সালেও তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

তাঁর অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে আছে ১৯৯১ সালে প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, ১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে বাচসাস পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে আর্ট ফোরাম পুরস্কার, ১৯৮৮ সালে আর্ট ফোরাম পুরস্কার, ১৯৮৮ সালে নাট্যসভা পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে কামরুল হাসান পুরস্কার, ১৯৮২ সালে নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে ললিতকলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সায়েন্স ক্লাব পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে কথক একাডেমী পুরস্কার এবং ঐ বছরই জাতীয় যুব সংগঠন পুরস্কার।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।