গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা জোরদার করেছে মধ্যস্থতাকারীরা: হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ২৬ জুন ২০২৫
গাজায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফাইল ছবি: এপি/ইউএনবি

ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত থাকলেও গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির চেষ্টা জোরদার করেছে মধ্যস্থতাকারীরা–– হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ইসরায়েল ও ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ‘বড় অগ্রগতি’ হচ্ছে এবং তার দূত স্টিভ উইটকফ মনে করেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, মঙ্গলবার বোমা হামলায় সাত সৈন্য নিহত হয়েছে, যে হামলার দায় স্বীকার করেছে হামাস।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলার কথা উল্লেখ করে বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, আমি মনে করি গাজায় দারুণ অগ্রগতি হচ্ছে, আমার মনে হয় এই হামলার কারণেই এটি ঘটছে।

‘আমি মনে করি আমরা খুব ভালো কিছু খবর পাবো। আমি স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলছিলাম এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন যে গাজার বিষয়টিও খুব কাছাকাছি,’ তিনি আরও বলেন।

ট্রাম্পের কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই, হামাসের েএক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

তবে, তিনি এটাও বলেন, সংগঠনটি এখন পর্যন্ত নতুন কোনো প্রস্তাব পায়নি।

মে মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতা চুক্তির প্রচেষ্টা থেমে গিয়েছিল, যখন উইটকফ বলেছিলেন হামাস ইসরায়েলের সমর্থনে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাবে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ সংশোধনী চেয়েছে, যেখানে অর্ধেক জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং যারা মারা গেছেন তাদের অর্ধেকের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান ফের শুরু করে, যার ফলে ভেঙে যায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি।

তখন তারা বলেছিল, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য তারা হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়। ৫০ জন এখনো গাজায় রয়েছে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন জীবিত বলেও তারা মনে করে।

মার্চের শুরুতে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। মার্কিন মিত্রদের চাপ এবং পাঁচ লক্ষ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে- বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের এমন সতর্কবার্তার ১১ সপ্তাহ পরে আংশিকভাবে তা শিথিল করা হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামরায় কমপক্ষে ৫৬ হাজার ১৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।