ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পরেই কিয়েভে রেকর্ডসংখ্যক ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২৫
রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের একটি ভবন। ফাইল ছবি: এএফপি

রাশিয়ার রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ফের কেঁপে উঠেছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে গোটা শহরের আকাশ ছেঁয়ে যায় গাঢ় ধোঁয়ায়। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া এই এক রাতে রেকর্ড ৫৫০টি ড্রোন এবং ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর মধ্যে ৭২টি ড্রোন কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে শহরে আঘাত হানে। এতে স্কুল, ভবন ও গাড়ি আগুনে পুড়ে যায় এবং রেলপথসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলার কারণে টানা আট ঘণ্টারও বেশি সময় কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন বাজে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে যুদ্ধের অন্যতম ‘সাবলীল ও নিষ্ঠুর’ আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া আবারও প্রমাণ করল, তারা যুদ্ধ শেষ করতে চায় না।

তিনি জানান, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছিল।

পুতিনের সঙ্গে আলাপের পর ট্রাম্প বলেছেন, আমি হতাশ। তিনি (পুতিন) এখনো যুদ্ধ থামাতে প্রস্তুত নন। এটা খুবই দুঃখজনক।

তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে কিছু অস্ত্র সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

জেলেনস্কি তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং কিয়েভের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা বাড়ায়। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগের বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই হামলায় কিয়েভে পোলিশ কনস্যুলেটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, কিয়েভ সরকারের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিশোধ হিসেবেই তারা এই ‘বৃহৎ হামলা’ চালিয়েছে।

ইউক্রেনের কিয়েভ ছাড়াও সুমি, খারকিভ, দিনিপ্রোপেট্রভস্ক ও চেরনিহিভ অঞ্চলেও হামলা হয়েছে। অপরদিকে, রাশিয়ার রোস্তোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় এক নারী নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন সেখানকার অস্থায়ী গভর্নর।

পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, কূটনৈতিক উপায়ে রাশিয়ার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব না হলে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে’। পুতিন সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘পুরো ইউক্রেন আমাদের’—একথা পুনর্ব্যক্ত করে ইউক্রেনকে রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে ফিরিয়ে আনার সংকল্প ব্যক্ত করেন পেসকভ।

সূত্র: বিবিসি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।