ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ

৮০ শিক্ষার্থীকে কঠোর শাস্তি দিলো কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি (ফাইল)

গাজায় যুদ্ধবিরোধী ও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় প্রায় ৮০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, কোর্স থেকে সাময়িক স্থগিত ও ডিগ্রি বাতিলের মতো কঠোর শাস্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপার্থাইড ডাইভেস্ট (সিইউএডি) নামের এক ছাত্র-অধিকার গোষ্ঠী জানায়, যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে আহ্বান জানিয়েছিল তাদের অনেক সদস্যকেই এক বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত কিংবা চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই সর্বশেষ শাস্তিগুলো মূলত বাটলার লাইব্রেরি দখল এবং ২০২৪ সালের অ্যালামনাই উইকেন্ডে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, একাডেমিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার লঙ্ঘন। এ ধরনের লঙ্ঘনের পরিণতি অবশ্যই হবে।

সিইউএডি-এর মতে, এই শাস্তিগুলো অতীতের অন্যান্য শিক্ষামূলক বিক্ষোভ বা অরাজনৈতিক আন্দোলনের তুলনায় নজিরবিহীন।

তারা আরও বলেছে, আমরা ভীত নই। ফিলিস্তিনি মুক্তির আন্দোলনে আমরা অটল।

২০২৪ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-প্যালেস্টাইন ছাত্রদের ক্যাম্পাসে অবস্থান আন্দোলন বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনি সংহতি বিক্ষোভে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয় নিউইয়র্ক সিটির শত শত পুলিশ ক্যাম্পাসে ডেকে বিক্ষোভকারীদের আটক করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর অবস্থানের মধ্যে চূড়ান্ত পরীক্ষার সময়েও শিক্ষার্থীরা বাটলার লাইব্রেরি দখল করে দাবি তোলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে এবং গাজা উপত্যকায় নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারিক বোর্ড জানায়, রিডিং পিরিয়ডে পাঠে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে বহিষ্কার, সাসপেনশন ও ডিগ্রি বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।