‘রাডার লক’ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই চীন-রাশিয়ার যৌথ মহড়া
জাপানের আকাশসীমার আশপাশে মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান। চলতি সপ্তাহে জাপানের ফাইটার জেটের দিকে ফায়ার-রাডার তাক করার পর যৌথ মহড়া চালালো চীন ও রাশিয়া। এমন ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে জাপান। এছাড়া সতর্ক অবস্থানের কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি রুশ টিইউ-৯৫ পারমাণবিক বোমারু বিমান সাগর থেকে উড়ে পূর্ব চীন সাগরের দিকে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে দূরপাল্লার যৌথ টহল পরিচালনা করে। টহল চলাকালে চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান বোমারু বিমানের সঙ্গে উড়ে ওকিনাওয়া ও মিয়াকো দ্বীপের মাঝ দিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে টহল দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সাতটি রুশ এবং দুটি চীনা বিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন>>
মুখোমুখি চীন ও জাপানের যুদ্ধবিমান, ‘রাডার লক’ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
এদিকে একই সময়ে সাগরে রুশ বিমানবাহিনীর আরও তিনটি বিমান—একটি এ-৫০ আর্লি–ওয়ার্নিং বিমান এবং দুটি এইইউ যুদ্ধবিমান সক্রিয় ছিল বলে জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক্স-এ দেওয়া পোস্টে রাশিয়া–চীনের এই যৌথ তৎপরতাকে জাপানের বিরুদ্ধে স্পষ্ট শক্তির প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌথ টহল অভিযানটি প্রায় আট ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
এর আগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) জাপান জানিয়েছিল, একটি চীনা এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার থেকে উড্ডয়ন করা যুদ্ধবিমান জাপানের সামরিক বিমানের দিকে রাডার লক্ষ্য করে। তবে বেইজিং সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিল যে নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ ছিল এটি।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের সাম্প্রতিক সামরিক তৎপরতা জাপানের প্রতি কঠোর বার্তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেছিলেন, তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যে কোনো চীনা অভিযান জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলতে পারে।
সূত্র : সিএনএন
কেএম