ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রতি মেয়র সাদিক খানের আহ্বান
ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। ফলে গাজা উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সাদিক খান গাজা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত মর্মান্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, গাজায় বর্তমানে ক্ষুধার্ত শিশুরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে খাবার খুঁজছে। এদিকে খাবারের সন্ধানে বের হওয়া মানুষদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনারা।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়—যার মধ্যে আমাদের সরকারও রয়েছে, তারা ইসরায়েলি সরকারকে এই নৃশংস ও অযৌক্তিক হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে এবং জরুরি মানবিক সহায়তা ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে আরও কঠোর চাপ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন ন্যাক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত করার সুযোগ নেই।
লন্ডনের মেয়র বলেন, যুক্তরাজ্যকে অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যদি ফিলিস্তিন নামে কোনো রাষ্ট্রই না থাকে, তাহলে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের কোনো ভিত্তি নেই।
এমন এক সময়ে সাদিক খানের এই মন্তব্য এলো যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের নেতৃত্বে নিজ দল লেবার পার্টির ভেতর থেকেই চাপ বাড়ছে। দলটির একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে এবং বেসামরিক প্রাণহানি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিংও একই সুরে বলেন, আমাদের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। ইসরায়েল যে আত্মরক্ষার কথা বলে, সে বৈধ আত্মরক্ষার সীমা বহু আগেই ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস, সেভ দ্য চিলড্রেন, অক্সফামসহ ১১১টি মানবিক সংস্থা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুধাস্ত্র’ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, ক্ষুধার্ত বেসামরিক মানুষদের গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য দেখে আমি হতভম্ব, বেদনায় ভারাক্রান্ত। সম্প্রতি তিনি জানান, যুক্তরাজ্য দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র: ইউএনবি
টিটিএন