হিন্দু বাড়িতে মুসলিম সদস্য, ভারতে ফের ভোটার তালিকা নিয়ে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

ভারতের বিহার রাজ্যের একটি গ্রামে ভোটার তালিকা কেন্দ্র করে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুজাফফরপুর জেলার সাকরা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাতেসর পঞ্চায়েতের মোহনপুর গ্রামে একাধিক হিন্দু পরিবারে মুসলিম ভোটারের নাম উঠে আসায় গ্রামজুড়ে শুরু হয়েছে ক্ষোভ, গুঞ্জন ও আতঙ্ক।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেই তালিকাতেই মোহনপুর গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হিন্দু পরিবারগুলোর তালিকায় একের পর এক মুসলিম ভোটারের নাম যুক্ত হওয়ায় অনেকে এটিকে শুধু ‘প্রযুক্তিগত ভুল’ নয়, বরং ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মোহনপুরের ওই ওয়ার্ডটি মূলত হিন্দু অধ্যুষিত। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে অন্তত ২০ থেকে ২৫টি হিন্দু পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১০০’রও বেশি মুসলিম ভোটারের নাম। এর মধ্যে বাড়ি নম্বর ৩৬, ৩৭ ও ৩৮ এ ১৫ জন মুসলিম ভোটারের নাম তোলা হয়েছে। অথচ স্থানীয়দের দাবি, ওইসব বাড়িতে কোনো মুসলিম পরিবার থাকেই না।

বাড়ি নম্বর ৩০ এর বাসিন্দা কমেশ্বর ঠাকুর বলেন, আমার বাড়িতে ছয়জন সদস্যের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে। কিন্তু হঠাৎই যুক্ত হলো ‘রোশন খাতুন’ নামে একজন নারী ভোটারের নাম। অথচ আমাদের গ্রামে কোনো মুসলিম পরিবারই নেই।

কমেশ্বর ঠাকুরের ভাই উমেশ ঠাকুর, যিনি এখন আর গ্রামে থাকেন না, তার বাড়ি নম্বর ৫০। সেখানে যুক্ত হয়েছে ১১ জন মুসলিম ভোটারের নাম।

সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটেছে বাড়ি নম্বর ৫৪ তে। ওই বাড়িতে একা থাকেন পবন ঠাকুর। তার স্ত্রী ২০২০ সালে মারা গেছেন, আর তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু ভোটার তালিকায় হঠাৎই তার পরিবারের সঙ্গে আটজন মুসলিম ভোটারের নাম দেখা যাচ্ছে।

বিস্মিত পবন ঠাকুর বলেন, আমি একাই থাকি এখানে। অথচ গতকাল জানতে পারলাম, আমার পরিবারের সঙ্গে আটজন মুসলিম ভোটারের নাম যুক্ত হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এটি ষড়যন্ত্র।

এদিকে, ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গ্রামজুড়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, পরিকল্পিতভাবে ভোটার তালিকায় গড়মিল করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) রেনু কুমারিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি সরাসরি কোনো জবাব দেননি।

তবে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।