কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে যান রাখাল, উদ্ধার হয় নবজাতক কন্যা শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দিল্লির একটি হাসপাতালের এনআইসিইউ। ছবি: এএফপি (ফাইল)

ভারতের উত্তর প্রদেশে ২০ দিন বয়সী এক কন্যা শিশুকে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, উত্তর প্রদেশে শাহজাহানপুর জেলার এক চারণভূমিতে ছাগল চরাতে গিয়ে এক রাখাল মাটির নিচ থেকে মৃদু কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি মাটির স্তূপের নিচে একটি ছোট হাত বের হয়ে থাকতে দেখেন।

স্থানীয়দের ডাকার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং মাটি খুঁড়ে এক নবজাতক কন্যা শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিকোটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. রাজেশ কুমার বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয় সোমবার। তখন সে কাদামাখা অবস্থায় শ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছিল। মুখ ও নাকের মধ্যে মাটি ঢুকে গিয়েছিল। শরীরে পোকামাকড় ও কোনো জন্তুর কামড়ের চিহ্নও ছিল।

প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সামান্য উন্নতি দেখা গেলেও পরে সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং শিশুটির অবস্থা আবার অবনতি ঘটেছে।

ড. কুমার আরও বলেন, আমাদের ধারণা শিশুটিকে মাটি চাপা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছিল কারণ তার ক্ষতগুলো ছিল একদম নতুন। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জনসহ একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে শিশুটির অবস্থা গুরুতর, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পুলিশ এখনো শিশুটির অভিভাবকদের শনাক্ত করতে পারেনি। তবে উত্তর প্রদেশের শিশু হেল্পলাইনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ভারতে নারী শিশুর প্রতি অবহেলা ও সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারে পুত্র সন্তানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে বহু কন্যা শিশু জন্মের আগেই বা জন্মের পর পরই হত্যা করা হয়ে থাকে।

২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশেই একটি অপরিণত নবজাতক কন্যাকে একটি মাটির হাঁড়িতে মাটিচাপা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই শিশুটিও হাসপাতালে চিকিৎসার পর সেরে উঠেছিল।

সূত্র: বিবিসি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।