নিউজিল্যান্ডে ‘বার্ড অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেলো বাজপাখি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবি: আরএনজেড ডটকম

নিউজিল্যান্ডে ‘বার্ড অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেলো বাজপাখি। স্থানীয়ভাবে যাকে বলা হয় কেরেয়ারিয়া। ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে এই দ্রুতগামী শিকারি পাখি সবার শীর্ষে উঠে এসেছে। কেরেয়ারিয়া ঘণ্টায় ২০০ কিমি গতিতে উড়তে পারে এবং ঘন বনেও দক্ষতার সঙ্গে শিকার করতে পারে। তবে এই প্রজাতি বর্তমানে ঝুঁকির মুখে রয়েছে; এদের সংখ্যা মাত্র পাঁচ হাজার থেকে ৮ হাজারের মধ্যে। খবর বিবিসির। 

২০ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। বিপন্ন প্রজাতির প্রানীদের প্রতি সচেতনতা বাড়াতেই এ ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে। চলতি বছর মোট ৭৩টি পাখি এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছে। প্রত্যেকটির জন্য আলাদা প্রচারক কাজ করেছেন।

তারা ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মিম, রিল এবং হাতে আঁকা পোস্টার ব্যবহার করেছেন। ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড সংস্থার প্রধান নির্বাহী নিকোলা টোকি বলেন, যদিও প্রচারণা মজার, তবে বার্তাটি গুরুতর। শীর্ষ দশের ৮০ প্রজাতিই এখন বিপন্ন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে কেয়া (১২,৫০৬ ভোট) এবং তৃতীয় হয়েছে কাকারুয়া বা ব্ল্যাক রবিন (১১,৭২৬ ভোট)। গত বছরও ব্ল্যাক রবিন জয়ী হওয়ার কাছাকাছি ছিল, কিন্তু পিছিয়ে গিয়েছিল হোইহো নামের লাজুক হলুদ-চোখওয়ালা পেঙ্গুইনের কাছে। কাকাপো বিশ্বের সবচেয়ে মোটা তোতা। এটি আগে দুবার জিতেছিল এবং ২০২২ সালে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল যাতে অন্য পাখিরাও জেতার সুযোগ পায়।

এ বছর প্রতিযোগিতায় নতুন করে ভালো করেছে টাকাহে (যা একসময় বিলুপ্ত মনে করা হতো) এবং রুরু বা মোরপর্ক নামে ছোট একটি পেঁচা। এছাড়া ‘বার্ডল’ নামে জনপ্রিয় ওয়ার্ডল গেমের বিশেষ সংস্করণ চালু করা হয়েছিল, যাতে পাখি-প্রেমীরা অংশ নিতে পারেন।

প্রতিযোগিতা এখন আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পূর্বে কমেডিয়ান জন অলিভার বিপন্ন পুটেকেটেকেকে জেতাতে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তিনি নিজে পাখির পোশাক পরে শো করেছেন এবং নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু করে জাপান, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে বিলবোর্ড দিয়েছে।

এ ধরনের প্রতিযোগিতা শুধু নিউজিল্যান্ডেই নয়, অস্ট্রেলিয়াতেও চলছে। সেখানে অক্টোবর মাসজুড়ে ‘বার্ড অব দ্য ইয়ারে’র ভোট হবে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।