বায়ুদূষণে পাকিস্তানের বছরে ক্ষতি ২২ বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানে বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর ২২ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৬.৫ শতাংশের সমান।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সিনেটের এক বৈঠকে এ তথ্য জানান সিনেটর শেরি রহমান।

সিনেটের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করতে গিয়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির এ শীর্ষ নেতা বলেন, জলবায়ু সংকট দেশের অর্থনীতি ও মানবসম্পদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।

তিনি জানান, আগের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল বায়ুদূষণে প্রতিবছর ১ লাখ ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। কিন্তু নতুন তথ্য অনুযায়ী, এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজারে।

শেরি রহমান বলেন, শীতকালে কুয়াশা প্রকৃতির স্বাভাবিক ঘটনা হলেও দূষণ হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক দূষকের বিষাক্ত মিশ্রণ। তার মতে, বর্তমানে দূষণ সন্ত্রাসবাদের চেয়েও বেশি মানুষ হত্যা করছে।

তিনি লাহোরের ঘনঘন বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকার বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করেন। ইটভাটা, শিল্পকারখানা ও যানবাহনের নির্গমন দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার (ইপিএ) মহাপরিচালক পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিটির চেয়ারপারসন।

তিনি বলেন, যথাযথ পরিসংখ্যান ও চার্ট না থাকায় আমরা এই উপস্থাপনাটি প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও ভর্ৎসনা করে বলেন— আপনাদের তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল, তবুও প্রস্তুত হয়ে আসেননি।

তিনি বলেন, গত বছর পাকিস্তানকে বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক দূষিত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, আর লাহোর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে।

দূষণকে তিনি অ্যাপোক্যালিপটিক বলে উল্লেখ করে বলেন— এটি মানুষের গড় আয়ু ৩.৭ থেকে ৪.৬ বছর পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ইটভাটা বন্ধ না করে সেগুলোতে ‘জিগজ্যাগ’ প্রযুক্তি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল সরকার— কারণ এসব ভাটা মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ পরিচালনা করে।

বৈঠকের শেষ বক্তব্যে তিনি পাকিস্তানজুড়ে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব জরুরি বলে উল্লেখ করেন।

সূত্র: জিও নিউজ

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।