‘জীবনে আর কাজ করতে হবে না’

বিবিসি হ্যাক করতে সাংবাদিককে বিপুল অর্থের প্রস্তাব হ্যাকারদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিবিসি হ্যাক করতে সাংবাদিককে বিপুল অর্থের প্রস্তাব/ ছবি: বিবিসি

বিবিসি হ্যাক করতে সাংবাদিককে বিপুল অর্থের প্রস্তাব হ্যাকারদের। প্রস্তাবে বলা হয়, এই কাজে সাহায্য করলে ওই সাংবাদিক এত বিপুল অর্থ পাবেন যে, সারা জীবনে আর কাজ করতে হবে না। এই অর্থ দিয়েই বাকি জীবন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিতে পারবেন।

সাধারণভাবে আমরা হ্যাকারদের যেসব আক্রমণ সম্পর্কে জানতে পারি তা হচ্ছে ডেটা বা অর্থ চুরি কিংবা বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট অকেজো করে মুক্তিপণ আদায়। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকে আরও ভয়ংকর এক দিক, যাকে বলা হয় ‘ইনসাইডার থ্রেট’। হ্যাকিংয়ের ভাষায় যার অর্থ- ভেতরের কারও হাত ধরে হ্যাকারদের ঢুকে পড়া।

আরও পড়ুন>>
বিশ্বজুড়ে সরকারি সংস্থা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম হ্যাক করেছে চীন, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
উগান্ডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৭ মিলিয়ন ডলার চুরি করলো হ্যাকাররা

সম্প্রতি এমনই এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বিবিসির সাইবার সাংবাদিক জো টিডি। এনক্রিপ্টেড চ্যাট অ্যাপ ‘সিগন্যাল’-এর মাধ্যমে এক অচেনা ব্যক্তি তাকে একটি বার্তা পাঠান। এতে বলা হয়, জো টিডি যদি হ্যাকার গ্রুপকে সহযোগিতা করে তাহলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে যে পরিমাণ মুক্তিপণ নেওয়া হবে, তার ১৫ শতাংশ তাকে দেওয়া হবে।

বিবিসির সাংবাদিককে অপরাধীরা প্রথমে ১৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার প্রলোভন দিলেও পরে তা ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করে। হ্যাকার গ্রুপ থেকে বলা হয়, বিবিসির মোট আয়ের ১ শতাংশ আদায় করলেও টিডি’কে জীবনে আর কাজ করতে হবে না।

হ্যাকার গ্রুপটি ওই সাংবাদিককে প্রস্তাব দিয়েছিল যে, বিবিসির সিস্টেমে প্রবেশ করতে শুধু তাদের তার কম্পিউটারে লগইন বিবরণ এবং নিরাপত্তা কোড দিতে হবে। এরপর গ্রুপটি ওই কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করবে এবং এর মাধ্যমে বিবিসির সিস্টেমে প্রবেশ করবে। তারপর প্রতিষ্ঠানকে বিটকয়েনে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য করবে।

বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই ব্রাজিলে এক আইটি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ তিনি নিজের লগইন তথ্য হ্যাকারদের কাছে বিক্রি করেছিলেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনার ফলে একটি ব্যাংক প্রায় ১০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে।

বিশ্বজুড়ে র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইরের আক্রমণ ঠেকাতে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও ভেতরের মানুষের সাহায্যে করা আক্রমণ প্রতিরোধ করা সবচেয়ে কঠিন। কারণ একবার ভেতরের প্রবেশাধিকার পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠান কার্যত হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। সাইবার অপরাধীরা এখন শুধু বাইরের ফায়ারওয়াল ভাঙার চেষ্টা করছে না বরং ভেতরের কর্মীদের টার্গেট করে বিশাল মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করছে।

সূত্র: বিবিসি
কেএম/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।