পশ্চিমবঙ্গ

ঘূর্ণিঝড় মন্থার আতঙ্কে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং শুরু

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
ঘূর্ণিঝড় মন্থার আতঙ্কে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং শুরু

দ্রুত গতিতে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মন্থা। আগামী মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়া অঞ্চলের আশপাশে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। সে সময় মন্থার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া প্রবল দাপট থাকবে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এরই মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে। ফসলেরও বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে পাকা ধান ও শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। কৃষকদের ক্ষেত থেকে পাকা ফসল কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

আরও পড়ুন>>
ভারত-চীন সরাসরি ফ্লাইট চালু, উচ্ছ্বসিত কলকাতার যাত্রীরা
নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গেও চালু হতে পারে বিতর্কিত এসআইআর
দীপাবলির পরেই বিপৎসীমা পেরোলো কলকাতার বায়ুদূষণ

ঘূর্ণিঝড় মন্থার আতঙ্কে উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিকটবর্তী কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র অথবা কোনো পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড়টি এখনো ভূমি থেকে অনেক দূরে থাকলেও এর প্রভাব ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলোতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। সোমবার রাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস সব জেলাতেই রয়েছে।

উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।