জার্মানির বিখ্যাত কোম্পানিকে কেনার অনুমতি পেলো আমিরাতের অ্যাডনক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
জার্মানির বিশ্বখ্যাত রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোভেস্ট্রোর হেডকোয়ার্টার/ ফাইল ছবি: এএফপি

জার্মানির বিশ্বখ্যাত রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোভেস্ট্রোকে কিনে নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনককে অনুমতি দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। প্রতিযোগিতা নিয়ে আশঙ্কা দূর করতে অ্যাডনকের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রায় ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ইউরো (১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ ডলার) মূল্যে অ্যাবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির প্রস্তাব চলতি বছরের অক্টোবরেই গ্রহণ করেছিল প্লাস্টিক নির্মাতা কোভেস্ট্রো।

ইউরোপীয় কমিশন গত আগস্টে তদন্ত শুরু করে দেখার জন্য যে, ইউএই সরকারের ভর্তুকি অ্যাডনককে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশি দাম দিতে সক্ষম করেছিল কি না, এবং এই ভর্তুকি কোভেস্ট্রোর বাজারে অস্বাভাবিক প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না।

অ্যাডনক ওই উদ্বেগ দূর করতে কয়েকটি পদক্ষেপের প্রস্তাব দেয়। কমিশন জানায়, এসব প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের শর্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিল দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে ইউএই সরকারের ‘অসীম গ্যারান্টি’ প্রত্যাহার করা ও টেকসই প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোভেস্ট্রোর পেটেন্ট বাজারের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া।

ইইউর প্রতিযোগিতা বিষয়ক প্রধান তেরেসা রিবেইরা বলেন, আমরা বিদেশি ভর্তুকির প্রভাব গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছি, যাতে অভ্যন্তরীণ বাজার ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক থাকে।

অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে অ্যাডনক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোভেস্ট্রোতে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে।

জার্মানির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক শিল্প খাত, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় পাঁচ শতাংশ। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর জার্মানির শক্তিনির্ভর রাসায়নিক খাতে চাহিদা কমে যাওয়া ও জ্বালানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন নেমে আসে। এসব চ্যালেঞ্জ এখনো কাটেনি।

ভবন নিরোধক সামগ্রী থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির উপকরণ, সব ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত রাসায়নিক উৎপাদনকারী কোভেস্ট্রো অধিগ্রহণের ঘোষণার আগেই ব্যয় সাশ্রয়ের পরিকল্পনা নেয়। লেভারকুজেনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে বায়ার থেকে আলাদা হয়ে গঠিত হয়। খরচ কমাতে প্রতিষ্ঠানটি ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি ইউরো সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে উপাদান ব্যয় ও কর্মীসংখ্যায় কাটছাঁট করার ঘোষণা দিয়েছিল।

সূত্র: এএফপি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।