মাত্র ১৯ দিনে তৈরি হলো ৫৭ তলা ভবন!


প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

প্রাচীন সভ্যতার এই দেশটি একসময় মহাপ্রাচীর তৈরি করেছিল, আর এই সময়েও স্থাপত্য শিল্পে দেশটি টক্কর দিচ্ছে আধুনিকতার মহীরুহ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপানসহ অন্যদের সঙ্গে। আর এসবই তারা করছে প্রযুক্তির উৎকর্ষে।

বলা হচ্ছে চীনের কথা। প্রযুক্তিকে এতটাই সহজ ও সস্তা করে তুলছে চীন, যা অন্যদের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবারের খবর। মাত্র ১৯ দিনে ৫৭ তলা ভবন বানিয়েছে চীনারা। এই অসম্ভবই সম্ভব করেছে তারা। চীনের হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশায় গেলেই দেখতে পাবেন আয়তাকার এক আকাশচুম্বি ভবন। মিনি স্কাই সিটি এই ভবনের নাম, লেখা রয়েছে ভবনের সামনে।

তবে, ১৯ দিন বলতে একটানা ১৯ দিন নয়। ১৯ কার্যদিবসে তৈরি হয়েছে ভবনটি। গত বছরের শেষ নাগাদ তৈরি হয় ২০ তলা। আর এ বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্মিত হয় বাকি ৩৭ তলা। গর্বের সঙ্গে ভবন নির্মাণের খুটিনাটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মিনি স্কাই সিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দ্য ব্রড সাসটেইন্যাবল বিল্ডিং করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াও চাংজেং।

এখানেই কিন্তু শেষ নয়। এবার মাত্র ৩ মাসে ২২০ তলা ভবন বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চায় এই প্রতিষ্ঠান। এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় তারা। এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করে পরীক্ষা চালিয়ে নিলেন মিনি স্কাই সিটি বানিয়ে।

যত কম সময়ে যত উঁচু ভবন হোক, ভবনে ক্রেতাদের ব্যক্তিগত চাহিদার প্রতিফলন থাকা চাই এই যুগে। কিন্তু মডুলার পদ্ধতিতে তৈরি স্কাই মিনি সিটির কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। ইটের পরে ইট নয়, ব্লক অ্যাসেমব্লির মাধ্যমে নির্মিত এই ভবনের কক্ষগুলো আয়তাকার, ফলে বৈচিত্র্য কম। নির্মাতা কোম্পানির এক প্রকৌশলী চেন জিয়াংকিয়ান স্পষ্ট ভাষায় এ কথা বললেন।

তবে মডুলার পদ্ধতির ভবনে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায়, তাও বা কম কি। নিরাপত্তা,  ভূমিকম্প সহনশীলতা, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সবই প্রথম শ্রেণির বলতে যা বোঝায় তা-ই। যে কারণে এ ধরনের ভবন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে হরহামেশা দেখা যায়। কিন্তু চীনাদের মতো মুন্সিয়ানা তারা দেখাতে পারেননি, এই যা পার্থক্য।

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।