উপসর্গবিহীন নারীর মাধ্যমে পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহানের ২০ বছর বয়সী এক তরুণীর মাধ্যমে তার পাঁচ আত্মীয় কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ ওই তরুণীর শরীরেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি। চীনা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, উপসর্গবিহীন মানুষের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।

ওই তরুণী তার বাড়ি থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার দূরের আনইয়াংয়ে গেলে তার আত্মীয়রা করোনায় আক্রান্ত হন। ঘটনাটি নিয়ে একটি ‘কেস স্টাডি’ প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশেনে। তাতে করোনাভাইরাসের বিস্তার এবং কেন এই ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ভ্যান্ডারবিট বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. উইলিয়াম স্ক্যাফনার বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা জিজ্ঞাসা করছেন, ‘আপনার এই সংক্রমণ হলেও আপনি অসুস্থ নাও হতে পারেন। আপাতদৃষ্টিতে এর উত্তর হলো, হ্যা।’

গবেষকরা বলছেন, নিজেদের শরীরে করোনার কোনো উপস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও বিক্ষিপ্ত সংখ্যার মানুষজনের মাধ্যমে অপরের শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমিত হচ্ছে।

ঝেংঝু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিপলস হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মেয়ুন ওয়াং ও তার সহকর্মীরা গবেষণা প্রতিবেদনে বলছেন, গত ১০ জানুয়ারি ওই তরুণ উহান থেকে আনইয়াংয়ে যান এবং তার বেশ কিছু আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করেন।

তার আত্মীয়রা অসুস্থ হতে শুরু করলে চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে আইসোলেশনে নিয়ে তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছি কিনা তা পরীক্ষা করেন। কিন্তু তার শরীরে করোনাভাইরাসে কোনো উপস্থিতি ছিল না। কিন্তু তার আত্মীয়রা করোনায় আক্রান্ত হন। ওই তরুণীর শরীরে এখনো করোনার কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

চীনে করোনাভাইরাস-বাহিত কোভিড-১৯ নামক রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৭৬ হাজার ২৮৮ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৫। বিশ্বের ২৯টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব ১৭ জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ১ হাজার ৬৪০ জন।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।