বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশে কড়াকড়ি
বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার। ফের নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশ থেকে আগত নাগরিকদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
অস্থায়ীভাবে ফ্লাইট বন্ধ করাসহ ভিসা ইস্যুতে কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। তবে ব্যবসায়িক কাজে ভ্রমণ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। এসব দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষিণ কোরিয়া সফরও এর বাইরে থাকবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে যতটা পারা যায় পারা যায় ভিসা ইস্যু কমিয়ে আনবে। এছাড়াও যেসব দেশে দ্রুতই ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখান থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসা ‘নন-শিড্যিউলড ফ্লাইট’ চলাচলে সাময়িকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
মন্ত্রণালয় ওই বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, শিগগিরই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। দেশে নতুন করে শনাক্তের মধ্যে যেসব দেশের নাগরিক বা যেসব দেশ ভ্রমণ করা ব্যক্তি রয়েছেন সেসব দেশের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে। নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনা প্রতিরোধে সফল বলে বিবেচিত দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে যেসব সংক্রমণ ছড়িয়েছে তার উৎস বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। গত শনিবার নতুন করে ৬৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে দেশটি; ২৭ মে এর পর যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের ঘটনা। শনাক্ত ৬৭ জনের মধ্যে ২৩ জনই বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তান থেকে যাওয়া মানুষ।
এদিকে রোববার নতুন করে ৪৮ জন শনাক্তের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৪২১ জন। নতুন করে আর কারও মৃত্যু হয়নি। দেশটিতে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২৮০। এছাড়া চিকিৎসা শেষে ১০ হাজার ৮৬৮ জন এখন সুস্থ।
এসএ