বিশ্বব্যাপী ২২০০ কর্মী ছাঁটাই করবে কোকা-কোলা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২ হাজার ২০০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফট ড্রিংকস জায়ান্ট কোকা-কোলা। করোনাভাইরাস মহামারিতে আয় কমে যাওয়ায় নতুন পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব কর্মীকে চাকরিচ্যুত করছে আটলান্টা-ভিত্তিক বহুজাতিক সংস্থাটি।
বিবিসির তথ্যমতে, ২০১৯ সালের শেষে বিশ্বজুড়ে কোকা-কোলার কর্মী ছিল প্রায় ৮৬ হাজার। চলতি বছর মহামারির মধ্যে আয় কমে যাওয়ায় চাপে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।
কোকের আয় আসে প্রধানত মানুষ বাড়ির বাইরে বেভারেজ পান করতে যে খরচ করে, সেখান থেকে। এবছর সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ জায়গাতেই বন্ধ বার, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হলগুলো। মূলত এসব জায়গাতেই কোকা-কোলার পণ্য বেশি বিক্রি হয়।
সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের সবশেষ প্রান্তিকে তাদের আয় হয়েছে ৮৬৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ কম।
এই আঘাত সামলাতে সম্প্রতি ব্যয় ব্যবস্থা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে কোক। এর বড় অংশ জুড়েই রয়েছে অজনপ্রিয় পণ্যের উৎপাদন বন্ধ ও কর্মী ছাঁটাই।
ইতোমধ্যেই কোকা-কোলা তাদের ৪৩০টি ব্র্যান্ড পণ্যের মধ্যে ২০০টির ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জনপ্রিয় ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা সম্পন্ন পণ্যগুলোতেই এখন অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
কোকের উৎপাদন বন্ধ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে ট্যাব সোডা ও জিকো কোকোনাট ওয়াটার। চলতি বছরের শুরুর দিকে তারা অডওয়ালা জুস ও স্মুদির ব্যবসাও বন্ধ করে দিয়েছে।
গত আগস্টে কোকা-কোলা জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও পুয়ের্তো রিকোয় চার হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দেবে।
সবশেষ কর্মী ছাটাইয়ের ঘোষণাতেও সবচেয়ে বড় আঘাতটা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে। দেশটিতে চাকরি হারাতে চলেছেন কোকের ১ হাজার ২০০ কর্মী।
কোকা-কোলা কর্তৃপক্ষের আশা, এসব কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে বছরে তাদের ৩৫ কোটি থেকে ৫৫ কোটি ডলার বেঁচে যাবে।
তবে, কোকের কর্মী ছাঁটাই অভিযানের আওতামুক্ত রয়েছেন বোতলজাতকরণ কারখানার শ্রমিকরা। বিশ্বজুড়ে এসব কারখায় কয়েক লাখ লোক কাজ করেন।
কেএএ/এমএস