করোনাভাইরাস : দক্ষিণ আফ্রিকায় সংক্রমণ ১০ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম দেশ হিসেবে এ সংখ্যা স্পর্শ করল দেশটি। সেখানে করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কয়েকদিন পরেই সংক্রমণের নতুন এই রেকর্ড তৈরি হল।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে নতুন করে অনেক রোগি ভর্তি হয়েছেন। এর ফলে উপকরণ সরবরাহে বেশ চাপ তৈরি হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে, ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা। রবিবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জুয়েলি এমখিজে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড ঘোষণা করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৪ হাজার ৪১৩ ও মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৭৩৫ জনের।
গত সপ্তাহে দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ১১ হাজার ৭০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে গত সপ্তাহের শুধু বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্তই প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি।
৫০১.ভি২ নামে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে ধরনটি প্রথম শনাক্ত করেন। এরপর এটি দ্রুত দেশের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যদিও সেখানে করোনাভাইরাসের আরেকটি ধরন ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। দুটি ধরনেই এন৫০১ওয়াই নামের একটি মিউটেশন আছে যা ভাইরাসটির গুরুতপূর্ণ একটি অংশ। শরীরের কোষকে আক্রান্ত করতে ভাইরাস এই মিউটেশনকে ব্যবহার করে। তবে ধরন দুটি একটি অপরটি থেকে ভিন্ন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পরে করোনায় আফ্রিকার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে মরক্কো। দেশটিতে মোট ৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৭ হাজার ২৪০ জন। এরপরের অবস্থানেই আছে মিসর। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ ও মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৫২। আফ্রিকা মহাদেশে চতুর্থ আক্রান্তের দেশ তিউনিশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা যথাক্রমে ১ লাখ ৩০ হাজার ২৩০ ও ৪ হাজার ৪২৬।
এমকে/জেআইএম